‘শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে CPM, সবাইকে দেব যদি না আমায় প্রাণে মেরে ফেলে’, চ্যালেঞ্জ মমতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার দশা রাজ্যে। একদিকে আদালতে চলছে মামলা, চাকরি হারিয়ে পথে ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিরা। অন্যদিকে, এই আবহেই নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ভরা বিধানসভায় তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ‘শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে সিপিএম’ (CPM)।

শুধু তাই নয় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে সিপিএম। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গেছে।’ তার সংযোজন, ‘চাকরি দিতে গেলে কোর্টে চলে যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। আইন মেনেই চাকরি দেব, কেউ আটকাতে পারবে না’, ‘সবাইকে আমরা চাকরি দেব যদি না আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে’।

সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এমন সুরেই সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুললেন মাননীয়া। পাশাপাশি মমতা সরকার যে রাজ্যের বেকারদের চাকরি দিতে ইচ্ছুক, সেকথা আরও একবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ, সরকার চাকরি দিতে চাইলেও নিয়োগ আটকাতে আদালতে মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সর্বাধিনায়িকার।

বামের পাশাপাশি এদিন বিজেপিকেও আক্রমণ করেন মমতা। তার কথায়, রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গেছে, চাকরি দিতে গেলে কোর্টে চলে যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বহুদিন জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শ্রীঘরেই দিন কাটাচ্ছেন, তৃণমূল বিধায়ক তথা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, দলের যুব রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ সহ আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে।

mamata

নিয়োগ ইস্যু ছাড়াও এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ তুলেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর, যে রাজ্যপালকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল? তার বাবাকে মন্ত্রী করতে দিল্লি নিয়ে গেল, ছেলেকে কেন নিয়ে গেল না?’ তার সংযোজন, ‘বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল আমার ভাই আর ভাইয়ের বউকে।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর