বাংলাহান্ট ডেস্ক: গরু আপাতভাবে একটি শান্ত প্রাণী হলেও ক্ষেপে গেলে যে কী করতে পারে, তার সাক্ষী রইলেন রায়গঞ্জের মানুষ। সেখানে চলছিল পুজোর কার্নিভাল। একটি ক্লাব তাদের প্রতিমাগুলিকে গরুর গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিল। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। প্রতিমাবহনকারী একটি গরুর গাড়ি থেকে গাড়ি ফেলে পালিয়ে গেল দু’টি গরু।
শুধু পালালো না। আশেপাশের মানুষজনকে গুঁতিয়েও দিল। সেই গরুদের গুঁতোয় আহত হলেন অন্তত ৩০ জন। যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দাবি, আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তিন জন এখনও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ষাট বছর।
রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির মতো উত্তর দিনাজপুরেও শুক্রবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হচ্ছিল। সেখানে রায়গঞ্জের অনুশীলনী ক্লাবের তরফে তাদের প্রতিমাগুলিকে ৩টি গরুর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কার্নিভালের মঞ্চ পার হতেই ঘটে বিপত্তি। একটি গরুর গাড়ির দুটি গরু আচমকাই কাঁধ থেকে গাড়ি ফেলে ছুট দেয়। অনেক কষ্টে গরু দু’টিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন গাড়ির চালক ও অন্যান্য ক্লাব কর্মকর্তারা।
কিন্তু কিছুটা গিয়েই আবারও গরুরা ছুটে পালাতে যায়। গাড়িটি কিছুটা দূরে গিয়ে উল্টে পড়ে। এরপরেই ওই দুই গরু জনতার মাঝখান দিয়ে উল্টো দিকে ছুটতে থাকে। ফলে ধাক্কা লাগে অনেকের। দু’টি নিয়ন্ত্রণহীন গরুকে ছুটতে দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় জনতার মধ্যে। এই ধাক্কা এবং হুড়োহুড়িতে আহত হন অনেকে। গুরুতর আহল হন রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে যান জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনা ও রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসও যান হাসপাতালে। জেলাশাসক বলেন, “কার্নিভাল শেষ হওয়ার পর এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। ১ জনের অবস্থা গুরুতর।”