প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা! হাসপাতালে সিসিটিভির জন্য বরাদ্দ ১ টাকা! ফের সুপ্রিম-প্রশ্নের মুখে রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর শিরোনামে উঠে এসেছে ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টি। নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিতে সরব তাঁরা। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে এই বিষয়টি উঠে আসে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ তৈরির কাজ কতখানি এগিয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

  • হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তরজা!

জানা যাচ্ছে, গতকালের শুনানিতে জানা যায়, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের হাসপাতালগুলির (Hospital) সুরক্ষায় সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সফটওয়্যারের জন্য মাত্র ১ টাকা বরাদ্দ করা ছিল! এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে রাজ্যকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তাতে আইনজীবী বলেন, কাজ হতেই থাকে। দরকার অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

এরপর রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ কতখানি এগিয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সব হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ অনেকখানি এগিয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি। তবে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ লা নিনার জেরে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা? এই বছর শীত কেমন পড়বে? কী বলছে IMD

রাজ্যের আইনজীবী বলেন, বর্তমানে আরজি কর মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই কারণে এই হাসপাতালে অনুমতি সম্বন্ধিত কিছু কারণে কাজ আটকে ছিল। তাই আরজি কর কাজ শেষ হতে আর কয়েকটা দিন সময় লাগবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেখানে কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী।

RG Kar case hearing Supreme Court order to State

যদিও রাজ্যের এই দাবি মানতে চাননি চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি বলেন, এই দাবি সঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানান, সুরক্ষা নিশ্চিত না হলেও চিকিৎসকরা আংশিকভাবে কাজে ফিরেছেন। কিছু ডাক্তার অনশন করছেন। আন্দোলন এবং কাজ একসঙ্গে চলছে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর