বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় আনার পক্ষে রায় দিল শীর্ষ আদালত। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা জনতার (EWS) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা যাবে। এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলা যায় না। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষ।
জাতির ভিত্তিতে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ থাকলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সংরক্ষণ থাকবে না কেন? এই তর্ক ছিল বহুদিন ধরেই। ২০১৯ সালে এই আইন পাশ হয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে আর্থিক সংরক্ষণের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় ৪০টি মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে।
বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ইডাব্লুএস সংরক্ষণ সম্পর্কিত ১০৩ তম সাংবিধানিক সংশোধনী বহাল রেখে বলেন যে এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে না। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালাও ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে ইডাব্লুএস সংরক্ষণকে সমর্থন করেছেন।
প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। পাশাপাশি বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট সংরক্ষণের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেন যে এটি মৌলিক ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, এসটি, এসসি এবং ওবিসিকে সংরক্ষণের বাইরে রাখা ঠিক নয়।
সুপ্রিম কোর্ট, তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সহ সিনিয়র আইনজীবীদের যুক্তি শোনার পরে, ২৭ সেপ্টেম্বর ইডাব্লুএস সংরক্ষণ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে কিনা সেই বিষয়ে আইনি প্রশ্নে তার রায় সংরক্ষণ করে। শিক্ষাবিদ মোহন গোপাল ১৩ সেপ্টেম্বর বেঞ্চের সামনে বিষয়টি নিয়ে তর্ক করেন এবং ইডাব্লুএস কোটা সংশোধনের বিরোধিতা করেন। এটিকে ‘পিছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণের ধারণাকে ধ্বংস করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…