১০ হাজার টাকা এবং একটি বাইকের বিনিময়ে উমেশ কোলহের গলা কাটার ‘সুপারি’ নেয় ইরফান শেখ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রীতিমতো ষড়যন্ত্র করেই অমরাবতীর রসায়নবিদ উমেশ কালহেকে (Amravati Chemist’s Murder) প্রকাশ্যে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল ইরফান শেখ। প্রহ্লাদ হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত  ইরফানকে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা যাচ্ছে, এই খুনের জন্য ইরফান পায় নগদ ১০ হাজার টাকা সঙ্গে একটি মোটরবাইকও।

কেন হত্যা করা হলো উমেশ কোলহেকে?

মহারাষ্ট্রের অমরাবতী শহরে একটি ওষুধের দোকান ছিল উমেশ কোলহের (Umesh Kolhe)। জানা যাচ্ছে, কিছু দিন আগে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর বিরোধী মন্তব্যের সমর্থনে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন তিনি। ভুল করে তিনি ওই পোস্টটি একটি মুসলিমদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পাঠিয়ে ফেলেন। তারপরেই তাঁকে খুন করার জন্য ছক কষতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।

কী দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে?

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সেদিন রাতে দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় আততায়ীরা রাস্তার মাঝে উমেশের মোটরবাইক আটকায়। তারপরই ৫৪ বছর বয়সী রসায়নবিদের গলা কেটে খুন করে (Amravati Chemist’s Murder)। ওই নৃশংস হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে ইরফান শেখ রহিম (৩৫)-এর নাম। অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে শাহরুখ পাঠান, আব্দুল তৌফিক, সোহেব খান, আতিব রশিদ, ইউসুফ খান বাহাদুর। এই ইউসুখ খান বাহাদুর আবার পেশায় পশু চিকিৎসক বলে জানা যাচ্ছে।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ইরফানই এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা (Amravati Chemist’s Murder) করে। গত ২১ জুন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটে ঘটনাটি। সেই সময় দোকান থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কোলহে। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র সঙ্কেত কোলহে। মোটরবাইকে করে এসে অভিযুক্তরা কোলহেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন কোলহে। কুপিয়ে খুন করেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। ভাইরাল হয়েছে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। ছেলে সঙ্কেত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি রসায়নবিদকে। সঙ্কেত অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরেই তদন্তে উঠে আসছে একাধিক হাড় হিম করা তথ্য।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর