বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উন্নয়নের বরাদ্দে টাকা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে কাটমানির দাবি করে দলীয় নেতৃত্ব। এমনকি টাকা না দিলে বাড়িতে চড়াও হওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয় আর এই অভিযোগে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ছেড়ে বিরোধী দল কংগ্রেসে (Congress), যোগদান করলেন পঞ্চায়েত সদস্যা সহ একশ জন মহিলা তৃণমূল কর্মী।
গতকাল মালদহের চাঁচলে অলিহোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথে মোট ১০০ জন মহিলা কর্মীর দলত্যাগ ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে এসেছে। এক্ষেত্রে বাংলায় যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় কোণঠাসা পরিস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেসের, সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে অসংখ্য কর্মীর কংগ্রেসে যোগদান যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বেই মালদহের চাঁচলে অপর এক পঞ্চায়েত সদস্য দল ছেড়ে বেরিয়ে যান আর এবার মোট ১৩ টি আসনের অলিহোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য ফুলমণি দাস সহ একশোর অধিক মহিলা কর্মীদের দলত্যাগ ইতিমধ্যেই চিন্তা বাড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩ টির মধ্যে নয়টি আসনে জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি চারটির মধ্যে একটি বাম এবং তিনটি যায় কংগ্রেসের দখলে। বর্তমানে ফুলমণি দাস কংগ্রেসে যোগদান করায় বিরোধী দলের শক্তি বৃদ্ধি হলো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। দলত্যাগ প্রসঙ্গে ফুলমণি দাস বলেন, “উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেখান থেকে কাটমানির জন্য একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছিল দলের নেতারা। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে দলত্যাগ করলাম।”
যদিও তৃণমূল নেত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে এলাকার তৃণমূল সভাপতি বলেন, “ওনার থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ মিথ্যা। আসলে টাকার ভাগ না পাওয়ার জন্যই দল ত্যাগ করেছেন। এ কারণে তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই দুর্বল হয়ে পড়বে না।”
এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস দলের তরফ থেকে দলত্যাগের ঘটনাকে বিশ্বাস গুরুত্ব দেওয়া না হলেও শাসকদলের দিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি নেতা সুমিত সরকার। তিনি বলেন, “শুধু কংগ্রেস নয়, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য একাধিক তৃণমূল কর্মীরা নাম লিখিয়ে চলেছে। আগামী দিনে আমাদের দলে অনেকেই যোগ দেবেন।”