বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কার্যতই ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অগণিত নেতা। ভোটের আগে হাওয়া বদলানোর ইঙ্গিতে যে সমস্ত নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ফলাফল প্রকাশের পর পত্রপাঠ ঘর ওয়াপসি হয় তাঁদের। তবে এবার কার্যতই অন্য ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেই যোগ দিলেন ১০০ জন কর্মী।
সোমবারই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদের এই নেতারা। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েই বিরোধী শিবিরে পা রাখলেন তাঁরা। পুরভোটেও ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল। সেখানে রাজ্যের এহেন অবস্থায় দাঁড়িয়ে একসঙ্গে এতজন নেতা কর্মীর দলত্যাগ কার্যতই বেসুরো৷ এদিনের এই যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ। জঙ্গিপুর বিধানসভার দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই দল বদলালেন এই বিরাট সংখ্যক তৃণমূল কর্মীরা।
যেখানে রাজ্যের রাজনৈতিক হাওয়া সম্পুর্ন রূপেই শাসক দলের তরফে সেখানে উল্টোস্রোতে ভেসে এতজন তৃণমূল কর্মী বিরোধী দলে যোগদান করায় কার্যতই নৈতিক জয়ের আমেজ গেরুয়া শিবিরে। এদিন ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘দফরপুর অঞ্চলের ১০০ জন মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। আমরা সম্মানের সঙ্গে তাঁদের যোগদান করিয়েছি। মূলস্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাঁরা নিষ্ঠাবান ও সৎ বলেই আমি মনে করি।’
কিন্তু কী কারণে হঠাৎ শাসক দল ছেড়ে বিরোধী দলে পদার্পন? দলবদলু এক নেতার দাবি, ‘তৃণমূল থেকে কিছুই পায়নি আমরা। বিশেষত দরিদ্র মানুষের কোনও উপকারেই আসেনি। দলের অন্দরে কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছিল।তার জেরেই এই দলবদল।’ ১০০ জন কর্মীর এহেন দলবদলে যে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির তা বলাই বাহুল্য।