বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসমের পর এবার রায়পুর। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর (Dhirendra Shastri) সভায় প্রায় ১০০০ জন ঘর ওয়াপসি (Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করলেন। সূত্রের খবর, কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও ধর্ম বদলে সনাতন ধর্মে ফিরেছেন। সেই সাথে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মির্জাপুর এলাকার একটা গোটা মুসলিম (Muslim) পরিবার হিন্দু (Hindu) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে খবর।
গত সোমবার এই ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রায়পুরে। গেরুয়া কাপড় পরিয়ে এইসব মানুষদের হিন্দু ধর্মে নিয়ে আসেন পন্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। সেখানেই মির্জাপুর নিবাসী মহম্মদ আকবরের নাম রাখা হয় সত্যম। একইসাথে এই ১০০০ জন মানুষের সাথে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছেন রায়পুরের মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক শেখ সেলিমও।
এইদিন ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সত্যমকে (পূর্বে মহম্মদ আকবর) তার অভিজ্ঞতা এবং পারিবারিক সম্মতির কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানান, তার পরিবারের তরফ থেকে কোনও আপত্তি নেই। এবং খুব শীঘ্রই তারাও নিজেদের ধর্ম বদলে সনাতন ধর্মে আসবেন। সত্যমের কথায়, ‘বাবা আমার নাম দিয়েছেন। এবং এই নামটি খুবই সুন্দর।’
আরও পড়ুন : BJP-র দখলে বিহার, বর্তমানে কতগুলো রাজ্যে গেরুয়া শিবির? কংগ্রেসই বা কততে? চমকে দেবে পরিসংখ্যান
এই সাহসী পদক্ষেপ তিনি কীভাবে নিলেন এই প্রশ্ন করা হলে সত্যম জবাব দেন, ‘বাবা বাগেশ্বরের প্রবচন শুনতে গেছিলাম। এবং সেখানেই বাবার কথায় অনুপ্রাণিত হই।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক বসন্ত আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের ডিএনএ টেস্ট করা হলে ফলাফল হিন্দুই আসবে। কারণ পূর্বে এই ভারতবর্ষ সনাতনীদেরই ছিল। আক্রমণকারীরা জোর জবরদস্তি সনাতনীদের ধর্ম বদলেছিল। এই ভারতের প্রতিটা মানুষই সনাতনী।’
আরও পড়ুন : নয়’বার মুখ্যমন্ত্রী, ২৮ বছরে তিনবার বিজেপির সঙ্গে! জানুন নিতিশ কুমারের সম্পত্তি
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শেখ সেলিম জানান, ‘আমি আমার স্ত্রীর কারণে ধর্ম বদলেছি। যদি আমি আমার স্ত্রীকে আপন করে নিতে পারি তাহলে তার ধর্মকে নয় কেন? আমার এই ধর্ম ভালো লেগেছে তাই আমি ধর্ম বদলেছি।’ উল্লেখ্য, শেখ সেলিম আরও জানিয়েছেন, সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার জন্য তাকে কেউ জোর করেনি। তিনি স্বইচ্ছায় এই ধর্মে এসেছেন। ধর্মান্তরিত ওই ব্যক্তিরা জানিয়েছেন সনাতন ধর্মেই আজীবন বিশ্বাস রাখবেন তারা।