বাংলা হান্ট ডেস্ক : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (lakshmir bhandar scheme), স্বাস্থ্যসাথীর (swasthya sathi scheme) পাশাপাশি এবার রাজ্যের ‘বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ (bina mulya samajik suraksha yojana) রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে অন্যান্য প্রকল্পগুলিকে। ষষ্ঠ পর্যায়ে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হয়েছে গত ১ এপ্রিল থেকে। আর এরই মধ্যে কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড রেকর্ড গড়েছে এই প্রকল্পে নথিভুক্তকরনের সংখ্যার নিরিখে। আর এই সাফল্যের অন্যতম দাবিদার হলেন ওই ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee)।
রাজ্যের একাধিক জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে খোঁজ নিলেই জানা যাচ্ছে, বিনামূল্য স্কিমে মারাত্মক ভিড় হচ্ছে। আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে প্রত্যেকদিন। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সব জায়গাতেই এই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। অসংগঠিত শ্রমিকদের এই প্রকল্প নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যানও সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। শ্রম দফতরের অধীন এই প্রকল্প এ বছর দারুণ সফল তা বলাই যায়।
নবান্নের বিশেষ সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত মোট ৩২ লক্ষ ২ হাজার মতো নানান প্রকল্পে আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ১১ লক্ষ ১৭ হাজার ২৮৭ টি আবেদন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ২৮৭টি আবেদন, স্বাস্থ্যসাথীতে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১৮টি আবেদন জমা পড়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৯৩ শতাংশ শ্রমিকই অসংগঠিত ক্ষেত্রের। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ অংশকেই এই প্রকল্পের নথিভুক্ত করানো সম্ভব হয়েছে। গতকাল ১১ এপ্রিল ১১৬৩ জন শ্রমিক সামাজিক সুরক্ষা যোজনার কার্ড তুলে দেওয়া হয় মানুষের হাতে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার,স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, বোরো চেয়ারম্যান চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মনীশ গুপ্ত সহ শ্রম দফতরের আধিকারিকরা। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই বিরাট সাফল্যে মুখে হাসি ফুটেছে সাধারণ মানুষের।