চীনের সাথে পিরিতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নেপাল! ৩৩ হেক্টর জমি দখলে নিলো লাল ফৌজ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেপালের (Nepal) অনেক কয়েকটি এলাকায় চীন (China) দখল জমিয়েছে, আর সেই কারণে ওলি সরকার (KP Sharma Oli) এই সমস্যা থেকে নেপালিদের নজর ঘোরাতে ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ শুরু করেছে। চীন শুধু নেপালের জমিই দখল করছে না। নেপালের স্কুলে চীনের ভাষা পড়ানর জন্য বাধ্য করছে ওলি সরকারকে। আর এগুলোতে জনতার নজর ঘোরাতে নেপাল ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ শুরু করেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চীন নেপাল সীমান্তে নেপালের অধীনে থাকা প্রায় ১১ টি জায়গা দখল করে নিয়েছে চীন। আর জিনপিং এর কাজের পরেও ওলি সরকার চুপ। এবং ভারত চীনের শতশত বছর পুরনো গভীর সম্পর্ককেও ভাঙতে প্রস্তুত নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। আর নেপালের যেই এলাকা গুলো চীন দখল করেছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ‘রুই” গ্রাম।

৭২ টি বাড়ি বিশিষ্ট এই গ্রাম এখনও নেপালেরই অংশ হিসাবে জানা গেছে। একটি সরকারী রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রুই গ্রামের রেকর্ড এখনও নেপালের মধ্যেই রয়েছে। তবে নেপালের কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য এটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে চীন সরকার জিনপিং এই অঞ্চলটিকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবী করছে। এছাড়াও বাগডারে খোলা ও কর্নালি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হুমলা জেলাতেই ১০ হেক্টর জমি দখল করে নিয়েছে চিন। রাসুয়া জেলায়ও ৬ হেক্টর চলে গিয়েছে চিনা আগ্রাসনের অধীনে।

শুধু তাই নয়, তিব্বত সীমান্ত দিয়েও নেপালকে ঝটকা দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে চীন। তিব্বতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে রাস্তা বানাচ্ছে চীন। এরফলে সেই নদী গুলো ঘরে নেপালের দিকে বয়ে চলেছে। আর এই কারণে আগামী দিনে আরও ১০০ হেক্টর নেপালি জমি চীনের দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আপনাদের জানিয়ে দিই, গোটা বিশ্বের মধ্যে চীনই একমাত্র দেশ যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিজদের সীমানা বাড়িয়ে গেছে। শুধু নেপালই না, পাকিস্তানও দখলের স্বপ্ন দেখছে লাল ফৌজ।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর