বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভয়ংকর রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। তার জেরে নবি মুম্বইয়ে (Navi Mumbai) মৃত্যু হল ১১ জনের। মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছে সরকার। হাসপাতালে এখনও ২৪ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)।
তিনি দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় মোট ৫০ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কমপক্ষে ১২৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন এদিন।
সমাজকর্মী দত্তাত্রেয়া নারায়ণ তথা আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারীকে ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ’ পুরস্কার দেওয়ার জন্য নবি মুম্বইয়ের খারঘরের ৩০৬ একরের মাঠে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে নারায়ণের লাখ-লাখ অনুগামী যোগ দেন। রবিবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই শনিবার থেকেই জমায়েত শুরু করেন। প্রখর রোদের মধ্যেও কোনও ছাউনির বন্দোবস্ত করা হয়নি।
ভরদুপুরে প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার পর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ১২৫ জন বুকে ব্যথা, অস্বস্তি হচ্ছে বলে দাবি করেন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কামোথে হাসপাতালেও যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সাত-আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে রায়গড়ের জেলাশাসক যোগেশ মাহাসে পাটিল বলেন, ‘এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। মোট ৫০ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এখনও ২৪ জন হাসপাতালে ভরতি আছেন।’ পুলিস সূত্রে খবর, দু’জন ভেন্টিলেটরে আছেন।
এই ঘটনায় একনাথ শিন্ডেকে তোপ দাগলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ছেলে আদিত্য ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ রোগীদের দেখে আসেন উদ্ধব। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা সঠিক ভাবে করা হয়নি। গতকাল এমজিএম কামোঠে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ রোগীদের সঙ্গে দেখা করার পর উদ্ধব ঠাকরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের সঙ্গে দেখা করেছি আমরা। আমি চার থেকে পাঁচজন রোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনুষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়নি। কে এই ঘটনার তদন্ত করবে?’