বজ্রাঘাতে মৃত্যু ১১ জনের, প্রাণ হারাল জঙ্গলে পিকনিক করা ৬ বন্ধু

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার সকাল থেকেই ছিল প্রচণ্ড গরম। গুমোট অবস্থায় কাহিল হয়েছে মানুষ। সন্ধ্যায় নামলো শান্তির বৃষ্টি। কিন্তু তারউ সঙ্গে এলো বজ্রপাত (Thunderstorm) নামক মৃত্যুদুত। যার আঘাতে ৮ জনের মৃত্যু ও ১১ জন গুরতর আহত হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশ জুড়েই।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বজ্রপাতের (Accident in Thunderstorm) কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু শোপুরে ঘটেছে। শোপুরের করহাল ব্লকে অজনাই গ্রামে সন্ধ্যায় চলছিল পিকনিক। সেখানেই বজ্রপাত ঘটায় ৬ বন্ধুর মৃত্যু হয়। ভিণ্ড জেলায় গোরমী থানার সুকাণ্ড গ্রামে বজ্রপাতের প্রভাবে দু’জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ছতরপুরেও মা-ছেলে সহ তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই সঙ্গে শিবপুরীর বগরবারা গ্রামে বজ্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রামস্বরুপ লোধীর। গোয়ালিয়রের ঘমণ্ডীপুরায় একই কারনে মৃত্যু হয়েছে নাস্তারাম বাঘেলের। এছাড়া গোয়ালিয়রেরই বেতাল সিংহ গুর্জর এবং তাঁর পুত্র হরনাম সিংহের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতেই।

Understanding the Misconceptions of Science Lightning and Myths about Thunderstorms QBS Featured

ছতরপুর জেলাতেও মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। বরামলহারা থানা এলাকায় মহারাজগঞ্জ গ্রামে রামপেয়ারি আহিরবার, তাঁর ২৫ বছরের পুত্র মুকেশ আহিরবার নিজের জমিতে কাজ করছিলেন। বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু হয় দু’জনেরই। বামনৌরা থানা এলাকায় অমরাওয়াতে রেড়া আহিরবারও কাজ করছিলেন নিজের জমিতে। হঠাৎই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তাঁরও।

প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এতে উত্তরপ্রদেশেই (UP) ৪১ জনের মৃত্যু ঘটে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে প্রয়াগরাজ জেলায়। এই জেলাটিতেই ১৪ জন নিহত হয়েছে।  ফিরোজবাদ জেলায় তিনজন, শিকোহাবাদে তিনজন এবং বাকিরা অন্য জেলায় মারা গেছে। মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান (Rajasthan)। সেখানে বজ্রপাতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর