বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একথা এর আগেও অনেকবার সামনে এসেছে যে কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যের জন্য অনেক সরকারি কর্মচারীও যুক্ত থাকতে পারেন। জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়েছে তাতে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির পিছনে কোন সরকারি কর্মচারীদের হাত থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেই সূত্র ধরেই এবার ১১ জন সরকারী কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হল জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়টি হল, এর মধ্যে ছিল জম্মু-কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী সালাহউদ্দিনের দুই ছেলেও।
জানা গিয়েছে যে তিনজন অফিসারের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সুপারিশ এসেছে তা কুপওয়ারার সেই আর্দালীর সঙ্গে সম্পর্কিত যে আগে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একজন অতিরিক্ত কর্মী ছিল। তার দায়িত্ব ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য পৌঁছে দেওয়া। জানা গিয়েছে বরখাস্ত হওয়া এই সরকারি কর্মচারীদের চারজন অনন্তনাগ জেলার, তিনজন বাডগ্রাম জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বারমুল্লা, শ্রীনগর, পুলওয়ামা ও কুপওয়ারা থেকেও একজন করে সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে অনন্তনাগ জেলার যে দুজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামায়েত ইসলাম এবং দুখতারান-এ-মিল্লাতের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদের সমর্থনে প্রচার এবং বিভিন্ন দেশ বিরোধী কাজে যুক্ত ছিল তারা। এই সরকারি কর্মীদের চারজন ছিল শিক্ষা বিভাগে।
এছাড়া এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের দুই পুলিশ কনস্টেবলও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারতীয় পুলিশের আধিকারিক হওয়া সত্ত্বেও জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করত তারা। সন্ত্রাসবাদীদের শুধু তথ্য সরবরাহই নয়, নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার কাজেও অভিযুক্ত এই দুই কর্মী। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি ক্ষেত্র দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ থেকেও অধিক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।