বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) রক্তক্ষরণ। দিনদিন ভারি হচ্ছে বিরোধী শিবিরের পাল্লা। হিমাচল প্রদশেও (Himachal Pradesh) শুরু হয়েছে তোলপাড়। নির্বাচনের পূর্বে কংগ্রেস নেতৃত্বের ছোঁয়াচ এড়াতে বিদ্রোহী বিধায়করা আশ্রয় নিলেন বিজেপি (BJP) শাসিত উত্তরাখণ্ডে (Uttarkhand)। সূত্রের খবর, মোট মোট ১১ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।
দিনকয়েক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ফিসফাস। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোট ৬ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তবে পরে সেই দলে নাম লেখান আরও ৬ জন। যার মধ্যে ৩ জন নির্দল বিধায়ক, ২ জন কংগ্রেসের। এবং এই ১১ জন বিধায়কের দল ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে।
তবে জল্পনার এখানেই শেষ নয়। এই ১১ জন বিধায়ক হৃষিকেশের যে হোটেলে উঠেছেন সেখান থেকে কয়েকজন বিজেপি নেতাকেও বার হতে দেখা গেছে বলে খবর। এমনকি তারা যে বাসে করে উত্তরাখণ্ড রওনা দিয়েছেন সেই বাসটিও নাকি এসেছে অপর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানা থেকে। অন্তত বাসের নম্বর প্লেট তো তাই বলছে।
আরও পড়ুন : দেশের ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা, নেই কোনও দাবিদার! কীভাবে পাবেন?
যদিও দিনকয়কে আগে অবধিও সুখবিন্দর সিং জানিয়েছিলেন যে, দলের মধ্যে সবকিছু ঠিকই আছে। ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও এই ৬ বিধায়কের দলে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারই তিনি বলেন, ‘যদি কেউ নিজের দোষ বুঝতে পারে তবে সেই ব্যক্তি আরও একটি সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।’
আরও পড়ুন : দক্ষিণে ব্যাপক শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির, বড় জোটের পথে শাহ-নাড্ডা! হাত কামড়াচ্ছে কংগ্রেস
যদিও সুখবিন্দর সিং-র সেই বক্তব্য আর সত্যি হলনা। ইতিপূর্বে ৬ জন তো ছিলই তার সাথে আরও ২ কংগ্রেস বিধায়ক আশ্রয় নিলেন বিরোধী শিবিরে। সেই সাথে ৩ জন নির্দল বিধায়ক বিজেপিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের বল বাড়ালো সেকথা বলাই বাহুল্য। ফলত, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের অস্তিত্ব যে ব্যাপক সঙ্কটে সেকথা বলাই বাহুল্য।
আরজিকর কান্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের পর, পুজো উদ্বোধনে সৌরভ বললেন, ‘এই শেষ…’