বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স মাত্র এগারো বছর। কিন্তু তাতে কী? এই বয়সেই একটি গোটা কোম্পানির মালিক! সেটাও আবার নিজের তৈরি কম্পানি। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ঘটনাটা সত্যি। এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে পাঞ্জাবের এগারো বছরের কিশোর মোধাংশ গুপ্ত।
চেষ্টা এবং ইচ্ছা থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়। তা আরও একবার প্রমান করে দিলো পাঞ্জাবের জলন্ধরের ওই কিশোর। মাত্র ১১ বছর বয়সেই সে তৈরি করে ফেলেছে প্রায় ৫০-র বেশি সফটওয়্যার। শুধু তাই নয়। সে নিজের তৈরি এন্টার প্রোকোডর প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও এখন সে নিজেই। মানুষ যদি চায় তাহলে অনেক কম বয়সেই অনেক বড় কিছু করতে পারে। তার জলজ্যান্ত প্রমান হল কিশোর মোধাংশ।
মোধাংশ এখন সেন্ট জোসেফ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকেই মোধাংশ কম্পিউটার কোডিং-এ পারদর্শী ছিল। মাত্র ৯ বছর বয়সেই জীবনের প্রথম সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলে সে। পুত্রের প্রতিভা চিনতে ভুল করেন নি বাবা সন্দীপ কুমার গুপ্ত এবং মা মোনিকা গুপ্ত। তাঁরা দুজনেই সমানভাবে সাহায্য করেছেন মোধাংশের অগ্রগতিতে। এরপরেই তাকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি।
ইতিমধ্যেই নিজের প্রতিভার জন্য একাধিক বড়ো বড়ো মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে মোধাংশ। তৎকালীন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহও সম্মানিত করেছিলেন তাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে ‘রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কারও’ পায় সে। এর মধ্যেই ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’, ‘ওয়ার্লড বুক অফ রেকর্ডস’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে মোধাংশ গুপ্তর নাম।