বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যেমন কথা, তেমনি কাজ! উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যেন বাংলার এই প্রবাদটি প্রমাণ করলেন। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের সকল ধর্মীয় স্থান থেকে প্রায় 11 হাজার লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও গত চার দিনে 35 হাজারেরও বেশি লাউডস্পিকারের শব্দকে কমিয়ে আনা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা এবং আইন সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য তৎপর দেখা যায় যোগী আদিত্যনাথকে, আর এবার লাউডস্পিকার সংক্রান্ত তাঁর এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি বৈঠক করেন যেখানে তিনি বলেন যে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে তিনি কোনরকম অবহেলা দেখতে চান না। এ বিষয়ে কোনরকম অমান্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আগামী দিনে একাধিক উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন সকলকে সতর্কতা নিয়ে চলতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী 3 রা মে অক্ষয় তৃতীয়া এবং ঈদ উৎসব রয়েছে। ফলে সেই দিন উপলক্ষ্যে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে পালন করার নির্দেশ দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে একাধিক জেলা থেকে বর্তমানে লাউডস্পিকার সরানো সম্ভব হয়েছেম এ সকল জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে লখনউ, যেখান থেকে প্রায় 2395 টি লাউডস্পিকার সরানো গেছে। এরপরেই এই তালিকায় রয়েছে গোরখপুর (1788), বারাণসী (1366), প্রয়াগরাজ (1172) এবং বরেলির মত জেলাগুলি।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লাউডস্পিকারে শব্দের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুনরায় শীর্ষে রয়েছে লখনউ, যেখানে প্রায় 7500 মাত্রায় শব্দ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও বরেলি, মিরাট এবং বারাণসীর মত জেলাগুলিতেও কঠোর ভাবে নির্দেশ পালন করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার বলেন, “বর্তমানে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সকল ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার সরানো এবং শব্দ মাত্রা কমানোর প্রচার করা হচ্ছে। আপাতত 10923 টি লাউডস্পিকার সরানো গেছে এবং 35 হাজারের ওপর স্থান থেকে শব্দের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়েছে।”
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে তিনি বলেন, “আমরা মাইক ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দিতে পারি। কিন্তু দেখতে হবে যাতে তার মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকে এবং পারিপার্শ্বিক মানুষের কোন রকম অসুবিধা না হয়।”