বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১০ মে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর থেকে রাজ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও বেড়ে গিয়েছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১২ জন কুখ্যাত অপরাধীর এনকাউন্টার হয়েছে। এই এনকাউন্টার নিয়ে পুলিশ জানায়, অপরাধীরা বাধ্য করেছিল বলেই গুলি চালিয়েছি। যদিও, অসমের বিরোধী দলগুলি পুলিশের এই পদক্ষেপকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমের নির্দলীয় বিধায়ক অখিল গগৈ এই এনকাউন্টারগুলিকে প্রকাশ্যে হত্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন। অসমের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া পুলিশের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, ‘অপরাধী যদি হেফাজত থেকে পালানোর প্রচেষ্টা করে, তাহলে সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে ‘সিন রিক্রিয়েট” করতে যান, আর সেখান থেকে অপরাধীরা পালান চেষ্টা করে। এই কাণ্ডে এখন অসমে জলভাত হয়ে গিয়েছে। এটা দেখে অসম পুলিশের অমানবিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।”
এই মামলায় অসমের ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং নিজের বয়ান দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে বিগত দুই মাসে এনকাউন্টারে ১২ জন অপরাধী মারা গিয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন জঙ্গি ছিল। আর ধেমাজি, নলবাড়ি, শিবসাগর এবং কার্বি আংলং জেলায় চারটি এনকাউন্টারে চারজন অপরাধি মারা গিয়েছে। বেশীরভাগই পুলিশের সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তারপরই তাঁদের গুলি করা হয়।
তিনি জানান, কয়েকটি এনকাউন্টার অপরাধীকে গ্রেফতার করার প্রয়াসের সময় করা হয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গি আর অপরাধীরা পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করলেই তাঁদের গুলি চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, অসম পুলিশের এই পদক্ষেপ যোগী সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। আরেকদিকে, বিরোধীরা অভিযোগ করে বলছে যে, অসম পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা লুকোতেই এই কাজ করছে।