বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশে করোনার প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার শুরু থেকেই অর্থাৎ গত ১ বছর ধরে বন্ধ আছে প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন ধাপে ধাপে তা খোলার পরিকল্পনা করা হলেও, শিশুদের উপর যেহেতু করোনার প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে, তাই ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধের পথে। তাই প্রায় ১ বছর ধরেই শিক্ষাগ্রহনের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে অনলাইন ক্লাস । আর সেখান থেকেই উঠে আসছে একেরপর এক লজ্জাজনক ঘটনা।
বাকি পাঁচটা শিশু শিক্ষার্থীর মত নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করার জন্য বাবা-মা রাজস্থানের ( Rajsthan ) শ্রীগঙ্গনগর জেলার এক ১২ বছর বয়সী ছেলে মোবাইল কিনে দেন। সেখান থেকেই ঘটনার সুত্রপাত। জানা গিয়েছে, অনলাইন ক্লাসের ফাঁকে ওই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আসক্ত হয়ে ওঠে নীল ছবির ( Porn Video )। সুযোগ পেলেই, এমনকি বাবা-মা রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ওই ছাত্র মেতে ওঠে নীল ছবি দেখা নিয়ে। বাবা-মার তরফে ধারণা প্রকাশ করে জানানো হয়, বাইরে ছেলেকে খেলাধুলোর জন্য যেতে বললে, সে পড়াশুনোর বাহানা দেখিয়ে ঘরে বসে মোবাইলে নীল ছবি দেখেই সময় কাটাতো।
যার মর্মান্তিক পরিণতি স্বরূপ, ওই ১২ বছরের ছেলে বাড়িতে তার নিজের ৬ বছরের বোনকে লালসার শিকার বানিয়ে ধর্ষণ করে। বাবা-মা ঘটনাটি পুলিশকে জানালে ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। দেশজুড়ে যখন সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে, ঠিক তেমন সময় এমন ঘটনা প্রত্যেক বাবা-মাকেই নাড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে, ওই ১২ বছরের ছাত্র জানায় যে, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন তার মোবাইলে একটি লিঙ্ক আসে, যাতে সে প্রবেশ করতেই ভেসে ওঠে অশ্লীল ভিডিও । তারপর থেকেই সে তাতে আসক্ত হয়ে ওঠে বলে জানায়। যার পরিণতি স্বরূপ নিজেরই ছয় বছরের খুদে বোনকে সে ধর্ষণ করে। আর নিজের ছেলের এহেন ধিক্কার জনক কাণ্ডে গভীর চিন্তা প্রকাশ করেছেন বাবা-মা।