বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে সম্প্রতি কিছু বিশেষ কয়েন সকলকে অবাক করে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা শিবা ইনু এবং ডজ কয়েনের সাফল্য দেখেছে। এখন একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি বড় লাফ মেরেছে। কয়েন মার্কেট ক্যাপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘টাটা কয়েন’, যা বিকেন্দ্রীকৃত অর্থায়নকে (de-centralize finance) সম্পূর্ণ নিরাপদ বানানোর লক্ষ্যে বাজারে এসেছিল, তা গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাটি বর্তমানে প্রায় ০.০৯৫১৫ ডলার ট্রেড করছে, যা ১২০০ শতাংশ বেশি। এই মুদ্রার বাজার মূলধন হল ৮৫৬,৩৫৫ ডলার।
টাটা কয়েনের লক্ষ্য হল এই বিকেন্দ্রীকৃত অর্থ সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করা এবং বহুজাতিক কোম্পানি এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের সাথে সংস্থাগুলির একটি নিরাপদ অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা তৈরি করা। এই কয়েন হল একটি সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীকৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বৈশ্বিক ডিজিটাল মুদ্রায় পরিণত হতে চায়, যা পরবর্তীকালে গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এই বিশেষ কয়েনের মূল বৈশিষ্ট্য হল যে এটি একটি সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীভূত পিয়ার-টু-পিয়ার ইলেকট্রনিক সিস্টেম। এটি সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে না। টাটা কয়েন বিশ্বে ভাল অর্থ আনার দাবি করে এবং এর জন্য ব্যবহারকারীদের কম ফি দিতে হবে। বলা হচ্ছে বিনান্স স্মার্ট চেইনে টাটা কয়েনের মাত্র ৯ মিলিয়ন কয়েন তৈরি করা হবে। এই বৈশিষ্ট্যটি টাটা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ করে তোলে। এটি মানুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ডিজিটাল সেক্টরে এই মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ দেয়।
টাটা কয়েনের স্মার্ট চুক্তিগুলি নিয়মিত নিরীক্ষা করে দেখা হয়৷ এর কার্যকারিতাগুলি মুদ্রাটিকে সবচেয়ে সুরক্ষিত ডিজিটাল মুদ্রা এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এটি কোনও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ জারি করেনি, তাই লেনদেনে অনেক ধরণের অসুবিধা এই পদ্ধতিতে সহজে সমাধান হয়ে যায়। এর সাহায্যে, ব্যাঙ্কগুলির যাচাই ছাড়াই একদিনে নিরাপদ পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পন্ন করা যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে ভবিষ্যতেও এই মুদ্রা এভাবেই চলতে থাকবে এবং মানুষকে নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ দেবে।