তেলেনিপাড়ার ঘটনার নামে পাকিস্তানের ছবি পোস্ট করে গ্রেফতার ১২৯ জন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতোমধ্যে তেলিনিপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত হুগলির (Hooghly) ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে বেশ কিছু হিংসাত্মক ছবি ও ভিডিয়ো। সেই সূত্রেই সামনে এসেছে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের ছবি ও ভিডিয়োও।

হুগলির তেলিনিপাড়া নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। ঘটনা নিয়ে তুমুল প্রচার শুরু করেছে বিজেপিও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে দিয়েছেন, ‘যারা লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি করছে, সে যে সম্প্রদায়েরই হোক পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কাউকে ছাড়া হবে না।’ সেই সূত্রেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর টুইট করে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশ ১২৯ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু মানুষ সুনির্দিষ্ট উদ্দেশে গোটা এলাকায় উসকানি দিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। আর এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, হুগলির তেলিনিপাড়ার অশান্তির ছবি বলে ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ভুয়ো ছবি। এমনকী পাকিস্তানের ছবিও রয়েছে সেই তালিকায়।

https://twitter.com/johnaustin47/status/1259465692182544391

বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুগলে ছবি রিভার্স করে দেখেছে, তেলিনিপাড়ার বলে যে ছবি ছড়ানো হচ্ছে, তা আদতে বালোচিস্তানের। ‘ভয়েস অফ পাকিস্তান মাইনোরিটি’ থেকে ট্যুইট করা সেই ছবি দিয়ে লেখা হয়েছিল, ‘ফের হিন্দুদের উপর নির্যাতন। গুলাব ও স্ত্রী প্রতিবেশীদের দ্বারা আক্রান্ত। ঘটনাটি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের। মহিলাকে সকলের সামনে যৌন নির্যাতন করা হয়। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা।’ মে মাসের ১২ তারিখ সেই খবর Gulf News -এ প্রকাশিতও হয়। লেখা হয়, ‘পাকিস্তানের গ্রামীণ পঞ্জাবে হিন্দু দম্পতির উপর বর্বর হামলা, কারণ অজানা।’

ei samay j

আর সেই ছবিই এখন তেলিনিপাড়ার বলে ছড়ানো হচ্ছে। যা নিয়ে বারবার সরব হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো ছবি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনিও। যদিও তেলিনিপাড়ায় অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলির জেলাশাসককে তেলেনিপাড়ায় গন্ডগোলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


সম্পর্কিত খবর