বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ঠিক তাই! আর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিনিশার কথা। বাবা একজন সাধারণ খেটেখাওয়া শ্রমিক, দ্বাদশ শ্রেণীর বিনিশা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল শেষে বিক্রি করেন চিনাবাদাম ।
বর্তমান যুগ ব্যয়বহুল যুগ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে সন্তানদের সুশিক্ষার জন্যও অভিভাবকদের ব্যয় করতে হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। যেসব খেটে খাওয়া মানুষদের সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দিতে হিমিশিম খেতে হয় সেই পরিস্থিতিতে তাদের কাছে শিক্ষা যেন বিলাসিতা। অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার-হাজার দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা। কিন্তু তাদের মধ্যে এমন কিছু শিশু রয়েছে, যারা যেকোনো মূল্যে ভালো শিক্ষা পেয়ে ভবিষ্যতে কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
সেরমই আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে কেরালার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বিনিশা। তার বাবা পেশায় একজন শ্রমিক। পরিবারে দারিদ্রতার দরুন নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুলের পরে চিনাবাদাম বিক্রির কাজ করেন ছোট্ট বিনিশা। দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শেষ হওয়ার পর সে বিকাল 4 টা থেকে 8 টা পর্যন্ত একটি স্টল স্থাপন করে চিনাবাদাম বিক্রি করেন। তারপর রাতে সে আবার ফিরে যায় নিজের পড়াশোনার জগতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিনিশার বোনের বিয়ের জন্য পরিবার ঋণ নিয়েছিল সেকারণে তার পরিবার ঋণে জর্জরিত। পরিবারের হাল ধরতে ও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বিনিশা চিনাবাদাম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। বিনিশার মাও একসময় চিনাবাদাম বিক্রি করতেন। কিন্তু পায়ে ব্যথা ও অসুস্থতার কারণে বিনিশা তার জায়গায় চিনাবাদাম বিক্রি শুরু করেন। যাতে তার লেখাপড়া বন্ধ না হয় এবং সেও তার বাবাকে ঘর চালাতে সাহায্য করতে পারে।
এবিষয়ে বিনিশা জানায় তিনি গত চার বছর ধরে সে চিনাবাদাম বিক্রি করছেন। এই নিয়ে লোকের তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপেরও শিকার হতে হয়েছে তাকে । কিন্তু সেই সবকিছু উপেক্ষা করে সে তার নিজের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।