বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সারা দেশে মোট ১৩০ টি মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনকে সুপারফাস্ট-এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এদিকে, ট্রেনগুলিকে সুপারফাস্ট করার পাশাপাশি ওইসব ট্রেনের ভাড়াও ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। মূলত, এসি থেকে স্লিপার ক্লাস পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও, ভাড়া বাড়ানো সত্ত্বেও, সুপারফাস্ট ট্রেনগুলিতে যে সুবিধা পাওয়া যায় তার কোনোটিই এই ট্রেনগুলিতে উপলব্ধ নেই। এমনকি, ক্যাটারিং থেকে শুরু করে যাত্রী নিরাপত্তা, কোনো সুবিধাই বৃদ্ধি হয়নি।
কার ভাড়া কত বেড়েছে: যে ১৩০ টি মেল এক্সপ্রেস ট্রেনকে সুপারফাস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, সেগুলির এসি ওয়ান বা এক্সিকিউটিভ ক্যাটাগরিতে ভাড়া ৭৫ টাকা, এসি ২, ৩ এবং চেয়ার কারে ৪৫ টাকা এবং স্লিপার ক্লাসে ৩০ টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। মূলত, যাত্রী পিছু এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অর্থাৎ, এর ফলে একটি PNR (৬ যাত্রী) বুকিংয়ে যাত্রীদের AC ১-এ ৪৫০ টাকা, AC ২, ৩-এ ২৭০ টাকা এবং স্লিপার ক্লাসে ১৮০ টাকার অতিরিক্ত পেমেন্ট করতে হবে৷ সর্বোপরি, গত ১ অক্টোবর থেকেই এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন না: রেলের নিয়ম অনুযায়ী, গড়ে ৫৬ কিলোমিটার বেগে চলা ট্রেনগুলিকে টাইম টেবিলে সুপারফাস্টের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রেলের ওই টাইম টেবিলে বিপুল সংখ্যক প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে মেল-এক্সপ্রেসের মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে। তবে, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এবার ট্রেনগুলিতে বড় সংখ্যক যাত্রী আর যাতায়াত করতে পারবেন না। এছাড়াও, সুপারফাস্ট চার্জ, রিজার্ভেশন চার্জ ইত্যাদি আলাদাভাবে নেওয়া হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২২-২৩-এর টাইম টেবিলে দিল্লি-ভাতিন্ডা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে মেল এক্সপ্রেসের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনের মোট দূরত্ব হল ২৯৮ কিলোমিটার। যেখানে রেলের নিয়ম বলছে যে, প্যাসেঞ্জার ট্রেন ৩২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলে। এমতাবস্থায় এটা স্পষ্ট যে, খরচ বৃদ্ধি সহ অন্যান্য কারণে এবার কিছু সংখ্যক যাত্রীরা এই ট্রেনগুলিতে ভ্রমণ করতে পারবেন না।