বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লালু প্রসাদ যাদব পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ডোরান্ডা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই মামলাটি ডোরান্ডা কোষাগার থেকে 139 কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের সঙ্গে যুক্ত। রাঁচিতে সিবিআই-র বিশেষ আদালত লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
লালুর স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহতি দিয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে না। লালুকে আপাতত রিমস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। প্রথমে তাদের হোতবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে, তারপর সেখান থেকে হাসপাতালে রাখা হবে। যদি তিন বছরের কম সাজা হয়, তবে নিম্ন আদালত থেকেই জামিন পাবেন লালু।
এ মামলায় লালুসহ অন্যদেরও অভিযুক্ত করা হয়। সিবিআই আদালত 24 জনকে খালাস করেছে, আর 36 জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, তৎকালীন PAC সভাপতি ধ্রুব ভগতকেও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নিম্ন আদালতের ট্র্যাক রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অতীতের মামলায় লালু যাদবকে তিন বছরের বেশি সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চারটি মামলায় 14 বছরের সাজা হয়েছিল লালু প্রসাদ যাদবের। এই মামলাগুলো ছিল দুমকা, দেওঘর ও চাইবাসা কোষাগার সংক্রান্ত। শাস্তির পাশাপাশি তাকে 60 লাখ টাকা জরিমানাও দিতে হয়েছে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব।
লালুপ্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য এই মুহূর্তে ভালো নেই। সে কথা মাথায় রেখেই সিবিআই আদালত কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আগের মামলাগুলোর দিকে তাকালে সিবিআই আদালত থেকে স্বস্তি পাননি লালু যাদব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আগের মামলায় লালুর পাঁচ থেকে সাত বছরের সাজা হয়েছিল। পরে হাইকোর্ট থেকে স্বস্তি পান তিনি।