কলকাতা থেকে হজে যাবেন ১৪ হাজার মানুষ! কোমর বাঁধছে নবান্ন, কী কী বিশেষ সুবিধা থাকছে এবার?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী মাসে হতে যাচ্ছে এই বছরের হজযাত্রা। জানা যাচ্ছে, ২১ মে থেকে ৬ জুন রাজ্যে হজযাত্রা (Haj Yatra) শুরু হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) নয়, একই সঙ্গে অসম (Assam), মিজোরাম, ত্রিপুরা (Tripura) সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে হজযাত্রীরা তাঁদের যাত্রা শুরু করবেন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি হজযাত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

রাজ্য পুলিস ও পৌরসভা একসঙ্গে কাজ করবে : এই হজযাত্রা আরও নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকারও। হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা রাখতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বের বিভিন্ন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে এক বৈঠক হয়। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হজ কমিটির প্রতিনিধিরাও। রাজ্যের পরিবহণ দফতর, কলকাতা ও বিধাননগর পুরনিগম, কলকাতা পুলিস, বিধাননগর পুলিস, এয়ারপোর্ট অথরিটি, কাস্টমস, এনকেডিএ সহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরাও ছিলেন ওই বৈঠকে।

জানা যাচ্ছে, হজ হাউসগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিস ও বিধাননগর পুলিসকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতা ও বিধাননগর পুরনিগমের উপরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে জলের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত থাকে।

থাকবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসের ব্যবস্থাও : শুধু তাই নয়, ওই সময়ে হজযাত্রীদের জন্য এসি বাসের ব্যবস্থাপনার জন্যও পরিবহণ দফতরকে বলা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে নোডাল অফিসারকেও সমন্বয় রাখার জন্য বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। হজযাত্রীরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নোডাল অফিসারকে।

এসএসকেএম-এ বিশেষ আসন : কলকাতা ও বিধাননগর দুই জায়গারই পুলিসের সঙ্গে নোডাল আধিকারিকের সমন্বয় ও দায়িত্ব বণ্টনের কথা এদিনের বৈঠকে বলা হয়। নজর দেওয়া হচ্ছে কোভিড স্বাস্থ্যবিধির উপরেও। হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে বৈঠকে এবং সেই সঙ্গে প্রত্যেকের করোনা টিকা ঠিকঠাক নেওয়া রয়েছে কি না, তাও দেখতে বলা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতাল, বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওই সময়ে হজযাত্রীদের জন্য অন্তত দুটি বেডের ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।