বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) পাওয়া গেল প্রায় ১৪০০ বছরের পুরনো খ্রিস্টান মঠ। সেই মঠের সঙ্গে পাওয়া যায় ব্যাপ্টিজিমের কক্ষ। এই কক্ষেই খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হত। এছাড়া পাওয়া গিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ঘর। যেগুলি সম্ভবত বিশপ বা পাদ্রিরা ব্যবহার করতেন। এই মঠ এবং কক্ষগুলি আবিষ্কার হওয়ার পর প্রশ্ন উঠে গেল তাহলে কি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলিতে কোনও এক কালে খ্রিস্ট ধর্মের প্রসার ছিল। এই আবিষ্কার রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দুনিয়ায়।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এই খ্রিস্টান মঠ খুঁজে পাওয়ার পরই সৃষ্টি হয়েছে একাধিক বিতর্কের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই মঠ প্রায় ১৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো। ইতিহাস অনুসারে যখন এই মঠ তৈরি হয় তখনও পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মহম্মদ জন্মগ্রহণই করেননি। অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম তখনও পর্যন্ত সৃষ্টিই হয়নি। এই মঠে পাওয়া যায় এক বিশেষ ধরনের কক্ষ। এই কক্ষগুলি ব্যাবহৃত হতো মূলত খ্রিস্টান সমাবেশে অংশগ্রহণকারী মানুষদের জন্য রুটি তৈরির কাজে।
এছাড়া আরও একাধিক ছোটো ছোটো ঘর পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ওই ঘরগুলি ব্যাবহার করতেন মূলত পাদ্রি ও বিশপরা। তাঁদের অবসর সময় কাটানোর জায়গা ছিল এগুলি। এই আবিষ্কার খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার ও প্রসারের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
Ancient Christian monastery discovered in Umm Al Quwain https://t.co/8Oonkd67mg pic.twitter.com/OhLmcnfm23
— UAE News (@UAENews) November 3, 2022
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এই এলাকায় খ্রিস্টান মঠ খুঁজে পাওয়া যায়। এর আগে ১৯০০ সালে একটি মঠের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিকদের ধারনা, এই এলাকায় প্রথমে খ্রিস্টান ধর্ম ছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে ইসলাম ধর্ম প্রসার হওয়া শুরু হয়। এলাকার মানুষজন ধীরে ধীরে ধর্মান্তরিত হয় ইসলাম ধর্মে। এই মঠে যে নমুনা পাওয়া যায় তার কার্বন ডেটিং রিপোর্ট বলছে এই মঠ তৈরি হয় ৫৩৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে হয়।