চাকরি দুর্নীতিতে সেরা বাংলার এই জেলা, এক ঝটকায় চাকরি খোয়ালেন ১৪৩ জন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার দশা রাজ্যে। দুর্নীতির চাদরে ঢেকে গেছে গোটা বাংলার মাটি। নজিরবিহীন শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে একের পর এক চাকরি হারাচ্ছেন অযোগ্যরা (Job Cancel)। যত দিন যাচ্ছে, ততই লম্বা হচ্ছে বাতিলের তালিকা। গতবছর প্রথম কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অনিয়ম করে পাওয়া চাকরি হারান রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট নেতার কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী।

সেই থেকে শুরু, ২২ পেরিয়ে বর্তমানে ২৩, প্রায় এক বছর হতে চললেও লাগাম পড়েনি চাকরি বাতিলে। এরপর থেকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে একের পর এক শুনানিতে অনিয়ম, অন্যায় করে পাওয়া চাকরি হারিয়েছেন শয়েশয়ে শিক্ষক-অশিক্ষকেরা। প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং স্কুলের শিক্ষাকর্মীও, সব জায়গায় দুর্নীতির ছোঁয়া। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন সরকারি স্কুলের ৮৪২ জন গ্রুপ সি কর্মচারী। আর তাতেই রাজ্যের এক জেলা থেকেই চাকরি হারিয়েছেন ১৪৩।

জানা গিয়েছে, এসএসসি প্রকাশিত সেই তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার ১৪৩ জনের নাম রয়েছে। যা অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটাই বেশি। এক জেলা থেকেই এত জনের চাকরি যাওয়ায় ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব সকলে। অন্যদিকে, এই চাকরি হারা কর্মীদের প্রভাবশালী যোগ রয়েছে, এই দাবি তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

এই সংখ্যা নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে যে ৮৪২ জন গ্রুপ সি’র কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের মধ্যে এই জেলায় রয়েছেন ১৪৩ জন। সেই তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। সমস্ত নথিপত্র ভালভাবে খতিয়ে দেখে নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।”

high court

জানিয়ে রাখি, সেই প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন মোট ৪,৭৮৪ জন। যদিও তদন্ত যত এগোবে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে পৌঁছতে এই সংখ্যাটা কততে গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর