শাহীনবাগে লাগু ১৪৪, ধর্ণা সরিয়ে খুলে দেওয়া হল রাস্তা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona) নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড়। দেশে যেন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কারোর। করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা দেশের একাধিক রাজ্যে লকডাউন (lockdown)। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাতসকালে খালি করে দেওয়া হল দিল্লির (delhi) শাহিনবাগের (Shaheenbag) ধরনাস্থল। আন্দোলনের ১০১ দিনের মাথায় দিল্লি পুলিশের বাহিনী এসে শাহিনবাগ খালি করে দেয়। ধরনাস্থল খালি করার পর খুলে দেওয়া হয় রাস্তা। লকডাউনের বিধি অনুযায়ী, কোনও জমায়েত করা যাবে না। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি।

লকডাউনের জেরে মঙ্গলবার ভোর থেকে গোটা দিল্লিতে ১৪৪ (144) ধারা জারি। এই অবস্থায় কোনওমতে জমায়েত বরদাস্ত করা হবে না বলে সোমবারই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Chief Minister Arvind Kejriwal)। তিনি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার ভোর ছ’টা থেকে দিল্লিতে লকডাউন শুরু হবে। তার আগে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের ধরনাস্থল খালি করার আরজি জানান কেজরিওয়াল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি প্রতিবাদীরা। বাধ্য হয়েই এদিন পুলিশ ধরনাস্থল খালি করে দেয়। ছয় মহিলা-সহ নয়জনকে আটকও করা হয় ধরনাস্থল থেকে। শাহিনবাগ লাগোয়া জাফরাবাদ (উত্তর-পূর্ব দিল্লি) এবং তুর্কমান গেট (পুরনো দিল্লি) যাওয়ার রাস্তাও খুলে দেওয়া হয়েছে। ধরনাস্থলের বাকি অংশ পুরনিগমের কর্মীরা এসে পরিষ্কার করে দেবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

sh

প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে মাস তিনেক আগে দিল্লির শাহিনবাগে ধরনা শুরু হয়। ধীরে ধীরে শাহিনবাগের আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। একাধিক শহরে শাহিনবাগের কায়দায় সিএএ’র প্রতিবাদে ধরনা শুরু হয়। তারপর যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছিল এই শাহিনবাগ। বহু চেষ্টাতেও নরমে-গরমে আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। কিন্তু রাজনীতি যা পারেনি, তাই করে দেখাল করোনা আতঙ্ক। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ধরনাস্থল ছাড়তে নারাজ ছিল আন্দোলনকারীরা। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ পুলিশ আধিকারিকরা ফের একবার আন্দোলনকারীদের ধরনাস্থল খালি করার জন্য অনুরোধ করেন। সেই কথা না শোনায় বাধ্য হয়ে আধ ঘণ্টা পর বলপূর্বক ধরনাস্থল খালি করে দেয় পুলিশ। ৯ জনকে আটকও করা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত খবর