বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। বর্তমানে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের চাকরিজীবীদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মাঝেই এবার ফের একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। ১৪৫৯ জন কর্মরত শিক্ষকের (School Teacher) বেশ কিছু তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে (School Teacher)?
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া ১৪৫৯ জনের বেশ কিছু তথ্য জমা করতে হবে। ওই শিক্ষকদের নাম দু’টি তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে পর্ষদ।
- শিক্ষকদের কী কী তথ্য চাওয়া হয়েছে?
গত ২৭ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সকল জেলার স্কুল জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দু’টি তালিকায় তাঁদের জেলার যে যে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের (School Teacher) নাম রয়েছে, তাঁদের তথ্য পর্ষদকে পাঠতে হবে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে শিক্ষকদের এই তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই সুখবর! একধাক্কায় বেতন বাড়বে ২৮,৮০০! কপাল খুলবে এই সরকারি কর্মীদের
পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৫৯ জন শিক্ষকের (Teacher) নিয়োগের বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকের বাবার নাম, ঠিকানা, জেলা, মোবাইল নম্বর, কোন স্কুলে নিয়োগ হয়েছে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির নীচে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব জবাব পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা। আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে স্কুল জেলা পরিদর্শকদের ২০১৪ সালের টেট (2014 TET) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষকদের তথ্য পাঠিয়ে দিতে হবে। তথ্য পাঠানোর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারির ইমেল আইডিও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির কারণ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে শিক্ষক (School Teacher) নিয়োগ। রাজ্যের বহু বিদ্যালয় পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে বলে খবর। এর মাঝেই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল সহ একাধিক রায় এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এসবের মাঝেই এবার ২০১৪ টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪৫৯ জন কর্মরত শিক্ষকের বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হল। তথ্য পাঠানোর পর কী হয় এবার সেদিকেই নজর সকলের।