অর্থনীতিতে লম্বা লাফ ভারতের! ৭৬ বছরে GDP বেড়েছে ১০০ গুণ, আগামী ১০ বছরে কোথায় পৌঁছবে দেশ?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৭৬ টি বছর। অনেক রক্ত ঝড়িয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছে ভারত (Independence of India)। স্বাধীনতা এসেছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। স্বাধীনতোত্তর সময়কালে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (Five Years Planning) প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার দিকেও কাজ করে চলেছে ভারত সরকার (Government of India)। এর ফলেই ভারতের জিডিপি ১৯৪৭ সালে ২.৭ লক্ষ কোটি টাকা ছিল, তা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৭২.৪১ লক্ষ কোটি টাকা।

এ বছর আমরা ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছি। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের তুলনায় আজকের ভারত অনেক দিক থেকে অনেক বেশি পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এখনও বহু কিছু পরিবর্তন করা বাকি। দেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথেই দেশের অর্থনীতির পুনর্গঠনও শুরু হয়। গত ৭৬ বছরে, ভারতীয় গণতন্ত্র অনেক বাঁক নিয়ে বহু দূর এগিয়ে গিয়েছে।ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার রিপোর্ট বলছে ভারতীয় অর্থনীতি ২০৩১ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বিশ্বের সামনে মর্যাদা বেড়েছে ভারতের। দেশকে এখন ‘সুপার পাওয়ার’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি ছিল দেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসের একটি টার্নিং পয়েন্ট। ব্রিটেনের ক্রমাগত শিল্পায়নের ফলে দেশ দরিদ্র হয়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দেশে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। চরম দারিদ্র্য এবং তীক্ষ্ণ সামাজিক পার্থক্য একটি জাতি হিসাবে ভারতের অস্তিত্বের উপর একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কেমব্রিজ ইতিহাসবিদ অ্যাঙ্গাস ম্যাডিসনের গবেষণা করে বলেন ১৭০০ সালে বিশ্ব আয়ে ভারতের অংশ ২২.৬% থেকে হ্রাস পেয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একবার বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ মুকুটে সবচেয়ে উজ্জ্বল রত্ন ছিল বিংশ শতাব্দীর শুরুতে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ভারত।’

India's economy turned around, GDP grew by 0.4 percent

দেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর উন্নয়ন মডেল ভীষণ কার্যকরী হয়। ১৯৪৮ সালের শিল্প নীতির জন্য একটি মিশ্র অর্থনীতির প্রস্তাব করা হয়। এর আগে, জেআরডি টাটা এবং জিডি বিড়লা সহ আট প্রভাবশালী শিল্পপতি দ্বারা প্রস্তাবিত হয় বোম্বে প্ল্যান। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশ্বাস করত যেহেতু বাজারভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়, তাই রাষ্ট্র ও সরকারি প্রচেষ্টা অনিবার্যভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

স্বাধীনতার পরঅর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এক আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ তথা রাজনীতিবিদ। স্বাধীন ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী আর কে শানমুখম চেট্টি ২৬ নভেম্বর ১৯৪৭ তারিখে সংসদে দেশের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির সময় অর্থনীতিবিদদের এক সমাবেশ তিনিই ছিলেন ভারতের প্রতিনিধি। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় ভারতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের ধারা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর