বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা নতুন কিছু নয়। রাজ্যের বিরোধী দলগুলো শাসকের এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সরকারকে আগাগোড়াই বিঁধে আসছে। যদিও, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে স্বচ্ছ হল পশ্চিমবঙ্গ এবং এখানে কোনও দুর্নীতি নেই।
তবে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুক না কেন, ওনার দেওয়া দরাজ সার্টিফিকেট মানতে নারাজ বিরোধীরা। আর চারিদিকে দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই নতুন করে আরও একটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার ১, ২ কোটি টাকার নয়! এক্কেবারে ১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
মালদায় তৃণমূল পরিচালিত শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সেরিনা বিবি আর তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও কোনও সুরাহা মিলেছিল না। আর সেই কারণে তাঁরা সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট এই দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের অফিসকে (CAG) দায়িত্ব দিয়েছিল। CAG এই নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে যে, মালদার শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কবরস্থান সস্কার, রাস্তাঘাট সারাইয়ের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করেই সেখানে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার বোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছেন, পঞ্চায়েত প্রধান সেরিনা বিবি তাঁর ছেলে ওয়াসিমকে ঠিকাদার বানিয়ে তাঁকেই পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজের টেন্ডার দেন।
মা প্রধান আর ছেলে ঠিকাদার হওয়ায় কাজ করার নাম করে বিপুল অঙ্কে দুর্নীতির করেছে তাঁরা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রথমে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে সুরাহা না হওয়ায় এলাকারই তিনজন ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। যদিও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এহেন অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। পাল্টা তাদের দাই, বিষয়টি বিচারাধীন, তাই তদন্ত সম্পূর্ণ না হলে এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। যদিও, তৃণমূলের জেলা সভাপতি এও বলেছেন যে, দুর্নীতি প্রমাণ হলে তাঁর দায় একমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের।