বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার উত্তরপ্রদেশের আলীগড় থেকে ত্রিপুরা যাওয়ার পথে অসমের করিমগঞ্জ জেলায় আটক হল ১৫ রোহিঙ্গা। তাঁরা সবাই অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকেছিল আর এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিল। জানা গিয়েছে যে, করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে রেলওয়ে স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরতে দেখা যায় ১৫ রোহিঙ্গাকে। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করে আরপিএফ। তাঁদের স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাঁরা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত এক দশক ধরে ওই রোহিঙ্গারা বেআইনি ভাবে ভারতে ঢুকে বসবাস করছিল। এরপরই তাঁরা উত্তর প্রদেশ থেকে অসমের পথ হয়ে ত্রিপুরার দিকে যাচ্ছিল তাঁরা। ত্রিপুরা থেকে তাঁদের বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
RPF-র সাবইনস্পেক্টর বিনোদ কুমার জানান, ধৃত ১৫ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছয়জন শিশু, তিনজন মহিলা আর ছয়জন পুরুষ রয়েছে। তাঁরা গত ২২ জুলাই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস করে বদরপুরে আসে। তারপর সেখানে একটি লজে দু’দিন কাটায়। শনিবার তাঁরা সেখান থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল। আর সেই সময়ই তাঁদের গ্রেফতার করে RPF।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ একদল মানুষকে বদরপুরে বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের ভাষা আর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় RPF-র। এরপর তাঁদের থেকে রেলের টিকিট ও নথি চায় আরপিএফ। কিন্তু তাঁরা টিকিট আর বৈধ নথি দেখাতে পারে না। তাঁদের থেকে উদ্ধার কিছু কাগজপত্র থেকে জানা যায় যে, তাঁরা আদতে মায়ানমারের নাগরিক। বেআইনি ভাবে তাঁরা ভারতে ঢুকেছিল। আরপিএফ-এর কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর তাঁদের গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, ২০১২ সাল থেকেই তাঁরা ভারতে রয়েছে। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে ছিল, এরপর উত্তর প্রদেশে চলে যায়। সেখানে লেবারের কাজ করে দিন কাটাচ্ছিল। এরপর একবার শিলিগুড়িতেও আসে তাঁরা। কিন্তু সেখানে কাজ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে। এরপরই তাঁরা ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এক দশক ধরে বেআইনি ভাবে ভারতে থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার তাঁরা।