চাঞ্চল্যকর তথ্য! এবার এই কারণে স্বীকৃতি খোয়াতে পারে দেশের ১৫০টি মেডিক্যাল কলেজ, তালিকায় নাম পশ্চিমবঙ্গেরও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) চরম বেনিয়ম সহ আরও বেশকিছু কারণের পরিপ্রেক্ষিতে এবার তাদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর ফলে প্রায় ১৫০ টি মেডিক্যাল কলেজের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছরের ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরণ না করায় মেডিক্যাল কলেজগুলিকে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থাতেও খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। তারপরেই মেডিক্যাল কলেজগুলির শিক্ষাদান সহ বিভিন্ন পরিষেবার মান নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়।

এদিকে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিগত এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড অব কমিশন। সেখানে মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরা সহ, আধার লিঙ্ক করা বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া এবং অপর্যাপ্ত শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারের নিয়ম না অনুসরণ করা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।

ওই তালিকায় প্রায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১৫০ টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মেডিক্যাল কলেজেরও নাম রয়েছে। মূলত, এই সমস্ত কলেজের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

WhatsApp Image 2023 05 31 at 9.06.31 PM

যদিও, কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেডিক্যাল কলেজগুলিকে তাদের স্বীকৃতি ফেরত পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। মূলত, যে কলেজগুলির স্বীকৃতি বাতিল করা হবে, সেগুলিকে ৩০ দিনের মধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে, সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ওই কলেজগুলিকে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর