বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা তৃণমূল শিবিরে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী (TMC Supporters) একসঙ্গে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বাড়ির এলাকায়। আর এর পরই তৃণমূল ও বিজেপির (BJP) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
দীর্ঘ সময় ধরে ভেটাগুড়িতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিরোধ চলছে। গত লোকসভা ভোটের পরে, ওই এলাকা ‘নিশীথের ঘাঁটি’ বলেই পরিচিত ছিল। পরে, সেখানে ধীরে ধীরে সেখানে নিজেদের শক্তি কিছুটা বৃদ্ধি করে রাজ্যের শাসক দল। এখনও দুই দলের মধ্যে শক্তি বাড়ানো নিয়ে লড়াই চলছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দিনহাটার ভেটাগুড়িতে। যেখানে গন্ডগোল হয় তার একশো মিটারের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি।
বিজেপির অভিযোগ, সোমবার রাতে ভেটাগুড়িতে প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। ওই কর্মীদের কয়েক জন এ দিন বাজারে যেতেই তৃণমূল হামলা করে। তখন ওই কর্মীরা পাল্টা ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলেন। তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি থেকেই লাঠি নিয়ে বেরিয়ে ‘বিজেপি-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীরা আচমকা হামলা চালায়।
দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ আক্রান্ত কর্মীদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন— ‘আজ সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি থেকে সমাজবিরোধীরা বেরিয়ে এসে দুই তৃণমূল কর্মীকে আক্রমণ করে। এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।’ ঘটনার পরে প্রথমে ভেটাগুড়িতে, পরে দিনহাটা থানার সামনে এবং বাইপাস মোড়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের দিনহাটা টাউন ব্লক সভাপতি বিশু ধর বলেন, ‘কে, কাকে আক্রমণ করেছে তা পরিষ্কার। আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা অবরোধ করেছি।’
এদিকে, বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘এক দিন আগেই তৃণমূল থেকে প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগ দেন। ভেটাগুড়িতে দলের ওই ভাঙন মেনে নিতে পারছে না শাসক দল। সে জন্য এ দিন সকালে ওই কর্মীরা যখন বাজারে যান, তখন তাঁদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূল। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আমাদের কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন। অথচ, শুধু আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হল।’