বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত গড়ে ভাঙন! তৃণমূল (Trinamool Congress) ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করল অন্তত ১৫০ জন দলীয় কর্মী সমর্থক। বীরভূমের (Birbhum) মিত্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের পর থেকে কি তবে দলের সংগঠন ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে, প্রশ্ন উঠে গেল সর্বত্র।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পূর্বে বর্তমানে গরু পাচার মামলায় হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় দলীয় সংগঠন নিয়ে চিন্তিত ঘাসফুল শিবির আর এর মাঝেই বীরভূমের মিত্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকর এলাকায় শাসক দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন দেড়শো জন কর্মী সমর্থক।
গতকাল পাইকরে কংগ্রেসের তরফ থেকে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে বাবুল আখতার নামে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের হাত ধরে কংগ্রেসের হাত ধরলেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থক। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা আসিফ ইকবাল বলেন, “এলাকার বুকে মানুষজন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন আর তার ফলস্বরূপ হিসেবে ১৫০ জন কর্মী সমর্থক আমাদের দলে যোগ দিলেন। আগামী দিন দলের শৃঙ্খলা মেনে কাজ করবেন সকলেই।”
পাশাপাশি এলাকার কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে চলেছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন সকলেই। ওদের দুর্নীতি সবাই বুঝে গিয়েছে, সেই কারণেই ভালো মানুষরা তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলের হাত ধরছেন।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তবে কি দলীয় সংগঠন ক্রমাগত দুর্বল হওয়ার পথে? এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর থেকে সেই সম্ভাবনা আরো প্রকট হয়ে উঠছে। যদিও হার মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। একের পর এক বৈঠক করার পাশাপাশি সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী শতাব্দী রায় বলেন, “কেষ্টদাকে সামনে রেখে সংগঠন করা হয়ে চলেছে। আমরা অনুব্রত মণ্ডলকে ভুলবো না কিংবা কখনো ছাড়া হবে না। উনি স্বশরীরে না থাকলেও ওর মতামত নিয়েই দল চলছে।”
এ ক্ষেত্রে দলবদল কি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলতে চলেছে? এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কি কারনে দলবদল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি বলতে চাই, যারা মানুষের পাশে থাকতে চান, তারাই তৃণমূল কংগ্রেস করেন।”