বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এল পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) থেকে। মূলত, সৌদি আরবের (Saudi Arabia) সতর্কতার পর পাকিস্তান সরকার ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এখন আরবের দেশগুলিতে যাচ্ছেন এমন যাত্রীদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন। ঠিক সেই আবহেই সৌদি আরবে যাওয়া ১৬ জন ভিক্ষুককে বিমানবন্দরে আটক করেছে তদন্তকারী সংস্থার কর্মচারীরা।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে ওমরাহ তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে থাকা ১৬ জন ভিক্ষুককে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছে। সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যম রবিবার এই খবরটি সামনে এনেছে। এদিকে, ওই ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন মহিলা, ৪ জন পুরুষ এবং একটি শিশু রয়েছে। ওই যাত্রীরা ওমরাহ ভিসায় ভ্রমণ করছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
মূলত, ইমিগ্রেশন চেক করার সময়ে যখন FIA অফিসাররা যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তখন তাঁরা স্বীকার করেছিলেন যে, তাঁরা ভিক্ষা করতে সৌদি আরবে যাচ্ছিলেন। ডন পত্রিকার মতে, তাঁরা এটাও প্রকাশ করেছেন যে, তাঁদের ভিক্ষার উপার্জনের অর্ধেক এই ভ্রমণের এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এদিকে, এই বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য FIA মুলতান সার্কেল ওই যাত্রীদের আটক করেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের মতে, বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক অবৈধ উপায়ে বিদেশে পাচার হয়ে যান। এই সংবাদ সামনে আসার পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ থেকেই LPG সিলিন্ডারের দাম সহ দেশে বদল ঘটল ৫ টি নিয়মে, দুর্ভোগে পড়ার আগে নিন জেনে
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেট প্যানেলকে জানানো হয়েছিল যে, বিদেশে প্রচুর পাকিস্তানি ভিক্ষুক ধরা পড়েছেন। পাশাপাশি, কিছুদিন আগেই একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল যে, সৌদি আরব তার হজ কোটার প্রার্থীদের নির্বাচনের বিষয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিল। সূত্র জানিয়েছে যে, এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ভিক্ষুকদের ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের এবং তাঁরা ওমরাহ ভিসায় ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: আর মিলবে না ছাড়! এবার এই ব্যক্তিদের দিতে হবে ২৮ শতাংশ কর, স্পষ্ট জানিয়ে দিল সরকার
জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে রিয়াদ ক্রমশ প্রতিকূল পরিস্থিতির বিষয়ে ইসলামাবাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, তাদের কারাগারে পাকিস্তানি বন্দীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। মক্কার মসজিদ আল-হারামের কাছে পিকপকেটিংয়ের অভিযোগের জন্যও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা হয়েছিল। কারণ, অধিকাংশ অপরাধীরা পাকিস্তানের ছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানিরা আরব ভিসার পরিবর্তে ওমরাহ ভিসায় ভ্রমণ করায় সৌদির জনগণ অসন্তুষ্ট ছিলেন।