বাংলা হান্ট ডেস্ক: তপসিলি জাতি উপজাতির তালিকায় সংশোধনের জন্য গত পাঁচ বছরে ১৬ টি রাজ্য থেকে নতুন প্রস্তাব পেয়েছে কেন্দ্র। যে রাজ্য গুলি প্রস্তাব জমা দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, মণিপুর এবং পশ্চিমবঙ্গ। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দেশের একাধিক রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকেও এই আবেদন পেয়েছে বলে জানায় কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার, গঠন করা হয়েছে নতুন কমিশন। আজ নবান্নে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসমক্ষে পাশ করানো হয়। বিধানসভার অধিবেশনে বিল আকারে আসবে এটি।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। শুধু তাই নয় এমনকি SC ও ST-দের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য কিছুদিন আগে বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠক করেছিলেন মমতা। মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তাদের উন্নয়নের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর এর প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘কাজ না করলে পাবলিক তোমায় ধরবে না, আমায় ধরবে। এরকম চললে আমি কাউকে ছাড়ব না।’ শুধু তাই নয় এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো আরো বলেন, ‘এই একমাত্র জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর, যেখানে সরকারি প্রকল্পের কাজ খুব ঢিমেতালে চলছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারি আধিকারিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করায় তারাও পাল্টা জবাব দিয়ে জানায় যে ‘ডিএম কে বৈঠকে ডাকা হলো না কেন!।’ এরপরে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে যান মমতা, কড়া সুরে তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে ক্ষিণ দিনাজপুর একটি মাত্র জেলা যেখানে নন কো-অপারেশন চলছে। জেলা প্রকল্পের বিভিন্ন রকম কাজ আটকে রয়েছে, ১০০ দিনের কাজেও পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর।’
শুধু তাই নয় এদিন মমতা আরো বলেন, ‘সরকারি আধিকারিকেরা নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে চলছেন। তার ওপর আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে প্রতিনিয়ত। এই কারণের জন্যই সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে জেলার মানুষ বঞ্চিত আছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে যা কাজ বাকি রয়েছে সমস্ত শেষ করতে হবে।’
এদিন মমতা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো সমস্ত পর্যালোচনা করে তার পেছনের কারণ’ কি তা তাঁকে কে জানাতে হবে। রাস্তাঘাটের কাজ হচ্ছে, মৎস্য দফতরের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কাজ কম হলে সবাই এসে আমায় ধরবে। এদিন মুখ্যসচিবও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।