বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সরগরম রাজ্য। ২০২০ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে নতুন অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই (CBI)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা। এই মামলায় মোট ১৬,৫০০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এবার তাঁদের চাকরিও বাতিল হতে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা মহল।
২০১৬-য় নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার নাম। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলায় আদালতকে এসএসসি জানায় তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাঁদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও নিয়ম ভেঙে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়।
স্কুল সার্ভিস সূত্রের খবর, কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুসারে ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণীর চাকরির নিয়োগপত্র বাতিল ঘোষণা করবে এসএসসি। শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলায় জর্জরিত স্কুল সার্ভিস কমিশন।
হাইকোর্টে এনিয়ে একাধিক মামলাও চলছে। বিভিন্ন সময়ে কমিশনকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ভর্ৎসনাও করেছে উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশেই খানিকটা নড়েচড়ে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে সাম্প্রতিককালে এত সংখ্যক শিক্ষকের একসঙ্গে চাকরির বাতিলের ঘটনা বেনজির বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল।
এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শুধু তাই নয়, মামলা খারিজ করার আবেদন করে। যদিও রাজ্যের আবেদন গ্রাহ্য হল না। নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলল আদালত। ফলে আবার একটা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়তে শুরু করেছে।