বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীপাবলির আগেই আলোর রোশনাই দেখল অযোধ্যা। ১৭ লক্ষ প্রদীপের আলোয় আলোকিত সরযূ তীরে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) রবিবারই মোদী অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালা দর্শন করেন। পুজোও দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবারই অযোধ্যায় পৌঁছন মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টেয় মোদি যান মন্দির নগরী অযোধ্যায়। সেখানে রামমন্দির প্রাঙ্গণে দর্শন সেরে পুজো দেন। এর পর অতিথি নিবাসে কিছু ক্ষণ সময় কাটানোর পর সরযূ তীরে পৌঁছন তিনি। সেখানে আরতি দেখার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট ১৭ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয় এলাকা এলাকা।
অযোধ্যা প্রশাসন সূত্রের জানা যাচ্ছে, ১৭ লক্ষ প্রদীপ সাজানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে ২৫৬টি করে প্রদীপ জ্বালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজ করছেন মোট ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। সেই প্রদীপ রয়েছে এক-একটি বর্গাকার খোপের মধ্যে। দুটি ক্ষেত্রের মধ্যে দূরত্ব দুই থেকে আড়াই ফুট। পাশাপাশি রাখা এমন অজস্র বর্গক্ষেত্রে রয়েছে মোট ১৭ লক্ষ প্রদীপ।
রবিবার অযোধ্যা, মূলত সরযূর তীরে দীপোৎসব উপলক্ষে হাজির হওয়ার কথা ছিল অসংখ্য মানুষের। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও একাধিক ভিআইপিও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তাই ঢেলে সাজানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। প্রাথমিক ভাবে শুধু দীপোৎসবের নিরাপত্তার জন্য ৪ হাজার বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত পুলিসকর্মীকে মোতায়েন করা হয়। দর্শকদের সামান্য কোনও সমস্যাও যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকেও ঘুরছেন পুলিসকর্মীরা।
অযোধ্যার মেয়র হৃষীকেশ উপাধ্যায় জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং লক্ষাধিক রামভক্তকে স্বাগত জানাতে বিরাট বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু এই রাজ্যই নয়, এই নক্ষত্রখচিত সন্ধ্যায় সরযূর তীরে সাক্ষী রইলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।’