বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেজে গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) শঙ্খনাদ। ভোট যে মে-জুন মাসে হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। এবার সেই সম্ভাবনা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
বুধবার রাজ্য ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সমস্ত জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক ও জেলাশাসকদের একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবে সে ব্যাপারে ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই বিজ্ঞপ্তিকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম বিজ্ঞপ্তি হিসাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এর অর্থ হল, রাজ্য সচিবালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবারের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ১৮ এপ্রিল জেলা শাসকদে নিয়ে বৈঠক হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাসক দলের মধ্যে প্রস্তুতিও চোখে পরছে। বিবিধ সরকারি প্রকল্পে যাদের বকেয়া পাওনা রয়েছে তা ২০ এপ্রিলের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পর ২৬ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং ডেকেছেন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, এপ্রিলের শেষ দিকেই পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। মে মাসের শেষে বা জুন মাসের গোড়ায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট গ্রহণ হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটকর্মী লাগতে পারে। তা নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা নেই। তবে রাজ্য পুলিস দিয়ে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের যুক্তি, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৩৪০টি। ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যায় না। তাই প্রতি ভোট কেন্দ্রে দু’জন করেও পুলিস মোতায়েন করতে হলে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার পুলিসকর্মী প্রয়োজন। তা ছাড়াও, নাকা তল্লাশি, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল নিরাপত্তা বাহিনী, স্ট্রং-রুম নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে।