বাংলাহান্ট ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই সরকার ২৬টি ওষুধকে ‘জরুরি’ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, ওই ওষুধগুলি শরীরে ক্যানসারের জন্য দায়ী হতে পারে। ফের একবার রোষের মুখে পড়ল আরও একটি ওষুধ। একটি ভারতীয় ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ (Indian Cough Syrup) নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ, ভারতীয় ওই সংস্থার ওষুধ খেয়ে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে উজবেকিস্তানে। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ওই ওষুধ তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই উজবেকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মধ্য এশিয়ার ওই দেশের অভিযোগের পর ভারত সরকারও তাদের তরফে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের ‘ডক-১ ম্যাক্স’ নামক একটি ট্যাবলেট ও সিরাপ দেওয়া হয়েছিল। এই ওষুধ ভারতীয় সংস্থা মারিয়ন বায়োটেক তৈরি করে। ওষুধ আমদানিকারক সংস্থা ক্যোরাম্যাক্স মেডিক্যালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উজবেকিস্তানের মিডিয়া অনুযায়ী, ল্যাব পরীক্ষার সময় ওই কাশির সিরাপে ক্ষতিকারক ইথাইল গ্লাইকল কেমিক্যাল পাওয়া যায়। এরপরেই হরিয়ানার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও ওই একই সংস্থার বিরুদ্ধে গাম্বিয়াতে ৭০ জন শিশুমৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, “ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল উজবেক নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শীঘ্রই আরও তথ্য জোগাড় করা যাবে।” মারিয়ন বায়োটেক উজবেকিস্তানে বেশ কিছু সময় ধরেই ওষুধ পাঠাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সংস্থার বিরুদ্ধে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উত্তরের প্রতিনিধিরা। রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই তথ্যে সিলমোহর দিয়েছে। উজবেকিস্তানে এই শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের ওষুধ লাইসেন্স দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি দল। এরপরেই তদন্ত শুরু করা হয়।