এই রাজ্য থেকে বাজেয়াপ্ত হল তিমির ১৮ কেজি বমি! দাম জানলে আঁতকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনেকেই জানেন না যে, তিমির বমিকে বলা হয় “অ্যাম্বারগ্রিস”। এদিকে, “স্পার্ম হোয়েল” (Sperm Whale)-এর বমির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে থাকে আকাশছোঁয়া। পাশাপাশি, চাহিদাও থাকে প্রচুর। এমতাবস্থায়, এবার তিমির বমি পাচারচক্রের সন্ধান পাওয়া গেল তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা তুতিকোরিন উপকূলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১৮ কেজি বমি বাজেয়াপ্ত করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পরিমাণ তিমির বমির বর্তমান বাজারদর জানলে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সবার। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই বমির দাম প্রায় ৩১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। গত ১৮ মে রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে পাওয়া খবর মারফত জানতে পারেন যে, তামিলাড়ুর উপকূল থেকে তিমির বমি পাচার হচ্ছে।

সেই খবর পেয়েই গত শনিবার তুতিকোরিন উপকূলে হানা দেন তাঁরা। জানা গিয়েছে গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছিল ওই মূল্যবান বমি। এমতাবস্থায়, তদন্তকারীরা ওই গাড়িটিকে আটক করে সেখান থেকে মোট ১৮ কেজি ১০০ গ্রাম তিমির বমি উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, “স্পার্ম হোয়েল”-কে সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন উপকূলীয় এলাকায় এহেন পাচার রুখতে নজরদারি বাড়ানো হবে। জানিয়ে রাখি যে, রাজস্ব দফতর গত দু’বছরে প্রায় ৪০ কেজি বমি উদ্ধার করেছে। যার আন্তর্জাতিক বাজারদর হল ৫৪ কোটি টাকা।

এদিকে, এই ঘটনায় ধৃতেরা জানিয়েছেন তুতিকোরিন উপকূল থেকে প্রায়শই তিমির বমি পাচার হয়। কিন্তু সেগুলি কোথায় পাচার করা হয় সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাননি তাঁরা। যদিও, তদন্তকারীরা সেই বিষয়টি জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি, এই পাচারচক্রের জাল ঠিক কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর