বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লি নৃশংসতার (Delhi Murder Case) ক্ষত এখনও টাটকা। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের (UP) লক্ষ্ণৌতে (Lucknow) ঘটে গেল আর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এবার ধর্মান্ধতার শিকার হল এক ১৮ বছরের তরুণী। ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করতে চায়নি সে। আর সেই ‘অপরাধেই’ ৪ তলা থেকে ছুড়ে ফেলা হল তাঁকে। ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সুফিয়ান নামের এক মুসলিম ব্যক্তিকে।
পুলিস সূত্রে খবর, বছর ১৮-এর ওই তরুণীকে ৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ-এর দুবগ্গা কলোনিতে। নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির ৪ তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনার খবর পেয়েই দৌড়ে পৌঁছায় তরুণীর মা স্থানীয়দের সাহায্যে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা এবং খুনের মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানা যাচ্ছে, সুফিয়ান নামের ওই মুসলিম যুবক তরুণীর এলাকাতেই থাকত। দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করত সুফিয়ান। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে তাঁর বাড়ি থেকে বেরোনোই অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য তরুণীর মা ডেকে পাঠায় তরুণীর মামাকে। সুফিয়ান রাস্তাতেই তরুণীর মামাকে আটকায়। সেখানে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
এই খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তরুণী। তখন সোজা সুফিয়ানের বাড়িতে অভিযোগ জানাতে চলে যান তরুণী। তাঁকে ধাওয়া করে হাজির হয় সুফিয়ানও। তরুণী যখন ৪ তলায় ওঠেন সেখান থেকেই তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় সুফিয়ান। তারপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। ঘটনা প্রকাশে আসতেই অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় এলাকা। পাথর ছোড়া হয় সুফিয়ানের বাড়িতেও। অবশেষে বিরাট পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।