১৮০ টাকার হাওয়াই চটি চুরি যাওয়ায় থানায় অভিযোগ, বললেন ‘অপব্যবহার হলে আমি দায়ী নই”

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশজুড়ে প্রতিদিনই একাধিক চুরির ঘটনার খবর শুনতে পাই আমরা। মোবাইল থেকে শুরু করে গাড়ি কিংবা বাইক, সুযোগ পেলেই চুরি হয়ে যায় সবকিছুই। পাশাপাশি, দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ঘটনা। তবে, এবার এই চুরির ঘটনারই পরিপ্রেক্ষিতে এক অদ্ভুত কান্ড করে বসলেন এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে ওই ব্যক্তির প্রসঙ্গ।

সাধারণত, মোবাইল-মোটর সাইকেল কিংবা গাড়ি চুরির ক্ষেত্রে আমরা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার ঘটনা শুনেছি। কিন্তু, এবার জুতো চুরি হয়ে গিয়েছে বলে সটান থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এলেন এক ব্যক্তি।

গত বৃহস্পতিবার, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের খাচরোদ থানায় চপ্পল চুরির অভিযোগে দায়ের করেন এক ব্যক্তি। পাশাপাশি, চোর তাঁর জুতোর অপব্যবহার করতে পারে বলেও মনে করেছেন তিনি। আর এই কারণেই ১৮০ টাকা মূল্যের কালো চপ্পল চুরির অভিযোগ নিয়ে থানায় পৌঁছন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি, তাঁর আবেদনে লেখা ছিল, “অজ্ঞাত চোর যদি আমার চপ্পল অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে থাকে তাহলে আমি দায়ী থাকব না।”

খাচরোদে বসবাসকারী এক কৃষকের সঙ্গে ঘটেছে এই ঘটনা:
জানা গিয়েছে যে, উজ্জয়ন জেলার তরোদ তহসিলের খাচরোদ গ্রামের কৃষক জিতেন্দ্র বাগরির সাথে চপ্পল চুরির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি জুতো চুরির পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন।

চপ্পলের দাম ছিল ১৮০ টাকা:
থানায় আবেদনে জিতেন্দ্র লিখেছেন, “আমার বাড়ি থেকে কেউ আমার চপ্পল চুরি করেছে। যদি কোনো অজ্ঞাত ব্যক্তি অন্য কোনো স্থানে চুরি করে ওই চপ্পলগুলো সেখানে রেখে দিয়ে আসে, সেক্ষেত্রে ওই মামলায় আমি জড়িত হতে পারি। অতএব, উক্ত অজ্ঞাত চোর আমার চপ্পল অন্যায়ভাবে ব্যবহার করলে আমি দায়ী থাকবনা।” এছাড়াও, ওই আবেদনে তিনি চপ্পলের কোম্পানির নাম উল্লেখের পাশাপাশি সেটির দাম ১৮০ টাকা ছিল বলেও জানিয়ে দেন।

WhatsApp Image 2022 05 08 at 12.15.07 PM 1

আবেদনটি নেন ফাঁড়ির ইনচার্জ:
এদিকে, সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ির ইনচার্জ অশোক কাটারে আবেদনপত্র গ্রহণ করে ওই ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করে বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিষয়টি খাচরোদ থানায় পৌঁছলে সেখানকার থানা ইনচার্জ রবীন্দ্র যাদব বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে সমস্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, ওই ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করে বলা হয় যে, তাঁর সাথে কোনোরকম “ভুল”-ও ঘটতে দেওয়া হবে না।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর