বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তপ্ত চিন – তাইওয়ান সম্পর্ক। আরও একবার ড্রাগনের (China) হুমকির মুখ তাইওয়ান (Taiwan)। দ্বীপ রাষ্ট্রটির অভিযোগ গত ২৪ ঘন্টায় তাদের বায়ুসীমার ভিতরে ১৯ চিনা যুদ্ধ বিমান প্রবেশ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে সবকটিই জে-১০ বিমান ছিল। তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের আকাশে এগুলিকে উড়তে দেখা যায়।
চিন – তাইওয়ানের বিবাদ কী নিয়ে? চিনের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত থেকে ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত তাইওয়ান। নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবেই মনে করে তাইওয়ান। সেদেশে রয়েছে নির্বাচিত সরকারও। কিন্তু বেজিং-এর দাবি তাইওয়ান চিনেরই অংশ। এবং যে কোনও ভাবে তাকে চিনের অন্তর্ভুক্ত করাই মূল লক্ষ্য।
তাইওয়ানের প্রতি এত লোভ কেন চিনের? ল্যাপটপ, ঘড়ি, ফোনের মতো হালকা বৈদ্যুতিন জিনিস কারখানা হল তাইওয়ান। চিনের নজর মূলত সে দিকেই। কোনও ভাবে তাইওয়ানকে কব্জা করতে পারলেই দখলে চলে আসবে পুরো বাজার। অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হবে ড্রাগন। বিশ্বে আরও একবার প্রতিষ্ঠা হবে তার একাধিপত্য।
কী বলছে আমেরিকা? চিন বিরাট শক্তিশালী রাষ্ট্র। তাইওয়ান তার কাছে নিতান্তই শিশু। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র নির্দেশন বিল বার্নস এই মত সমর্থন করেন না। তাঁর দাবি চিন এত সহজে তাইওয়ান দখল করতে পারবে না। উদাহরণ হিসাবে তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা টেনে আনেন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই তাইওয়ানে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।
চিনের মাস্টারপ্ল্যান ২০২৭ কী? চিনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং লাল ফৌজকে ২০২৭ এর মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য তৈরি হতে বলেছেন। বিল বার্নস বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হাল দেখে শুধরে গেছেন জিনপিং। তাঁর মনে হয়েছে আদৌও কী তাইওয়ানকে আক্রমণ করে চিন কোনও দিন দখল করতে পারবে?