সাত দিনেই ১৯ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান! চলতি সপ্তাহে শেয়ার বাজারে মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগকারীদের জন্য চলতি সপ্তাহটি মোটেও ভালো যায়নি। শুধু তাই নয়, মাত্র সাত দিনেই শেয়ার বাজারে ব্যাপক দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর সেনসেক্স এবং নিফটি ১.৭ শতাংশ হারে কমেছে। পাশাপাশি, গত সাত দিনে ষষ্ঠবারের মতো পতনের সঙ্গে বন্ধ হয়েছে বাজার। জানা গিয়েছে, ওইদিনগুলিতে, বিনিয়োগকারীরা এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন যে তাঁদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।

মূলত, চিন-জাপানসহ একাধিক দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দর বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বাজার যথেষ্ট চাপে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় শেয়ার বাজারে দরপতন তীব্র হয়েছে। গত শুক্রবার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ সেনসেক্স ১.৬১ শতাংশ বা ৯৮০.৩৮ পয়েন্ট কমে ৫৯,৮৪৫.২৯-তে বন্ধ হয়েছে। একইভাবে, নিফটি ৩২০.৫৫ পয়েন্ট বা ১.৭৭ শতাংশের তীব্র পতনের সাথে ১৭,৮০৬.৮০-তে বন্ধ হয়েছে।

একদিনে ৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লোকসান: এই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির দিন ছিল গত শুক্রবার। শুধুমাত্র ওই দিনই বিনিয়োগকারীদের ৮.২৬ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। পাশাপাশি, বিএসই তালিকাভুক্ত সমস্ত কোম্পানির মার্কেট ক্যাপও হ্রাস পেয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর এই পরিসংখ্যান ২৮০.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা থাকলেও গত ২৩ ডিসেম্বর তা ২৭২. ২৯ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

৭ দিনে ১৯ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি: এমতাবস্থায়, BSE তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মার্কেট ক্যাপের প্রসঙ্গে জানাতে গেলে বলতে হয় যে, এটি গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে। পাশাপাশি, সেনসেক্সের ৩০ টি স্টকের মধ্যে শুধুমাত্র টাটা গ্রুপের টাইটান গত শুক্রবার কিছুটা ভালো জায়গায় ছিল। এটি ০.২৩ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে প্রতি শেয়ারে ২,৪৮৮.৭৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে।

indian money 1

এইসব শেয়ারে সবচেয়ে বেশি পতন ঘটেছে: টাইটান বাদে, সেনসেক্সের বাকি স্টকগুলিতে শুক্রবার পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, সর্বাধিক পতনের তালিকায় টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, বাজাজ ফিনসার্ভ এবং উইপ্রোর শেয়ার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই স্টকগুলি ২.৮০ শতাংশ থেকে ৪.৭০ শতাংশে নেমে এসেছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর