বাংলা হান্ট ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে হঠাৎই হাজির ২ বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA meets Abhishek)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘাসফুল গড়ে বড় চমক। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnepore), উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ২ বিজেপি বিধায়ক গেলেন অভিষেকের অফিসে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) দফতরে হাজির হয়েছেন ২ বিজেপি বিধায়ক এমনটায় সূত্রের খবর। তৃণমূলে এলে কি দায়িত্ব? সেই সব নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির (BJP MLA meets Abhishek) ক্ষেত্রে এ এক বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
দ থেকেই ‘তারিখ পে তারিখ’ দিয়ে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।ডিসেম্বর’ নিয়ে বিজেপি নেতাদের কথার আক্রমণের পাল্টা জবাব সেই সময় দেন অভিষেক। ছুড়ে দেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ। শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,’এই যে বলছে ডিসেম্বর ধামাকা, সরকার পড়ে যাবে! আপনি জানেন আমি দরজা যদি খুলে দিই বিজেপি দলটাই থাকবে না। খালি আপনাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়েছি। দুঃসময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে লড়াই করেছে আর মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে যারা বুক চিতিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করেছেন তাঁদের মর্যাদা দিয়ে দরজা খুলছি না। বলুন দরজা খুলব? আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় একটু খুলেই দিই।’
অভিষেকের সেই প্রশ্নে কাঁথির জনসভার উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। একাংশ পক্ষে, অন্য একাংশ বিপক্ষে। জনতার আবেগ দেখে অভিষেকের মন্তব্য,’আগামী সপ্তাহে খুলি? ৫ মিনিটের জন্য খুলব তার পর আবার বন্ধ করে দেব। খুলব কি খুলব না? আমি ছোট্ট করে দরজা খুলতে চাই। তাহলে ছোট্ট করে দরজাটা একবার খোলা যাক।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দেন,’বেছে বেছে নেওয়া হবে। যাঁরা দরজা দিয়ে ঢুকবে প্রায়শ্চিত্য করবে। কোনও কর্মীর মাথায় উঠে যাতে ছড়ি ঘোরাতে না পারে সেই দায়িত্ব আপনার।’ এ দিনের অভিষেকের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত, ডিসেম্বরে বিজেপিতে আবারও ভাঙন ধরাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সম্ভাবনাই কি শেষ পর্যন্ত সত্যি হল?