বাংলা হান্ট ডেস্ক : বগটুই গণহত্যা কাণ্ড (Bogtui Massacre) মামলায় নতুন মোড়। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় দুই কেন্দ্রীয় আধিকারিককে নির্বাসনে পাঠাল সিবিআই (CBI)। জানা যাচ্ছে, ওই দুই সিবিআই আধিকারিকের নাম রাহুল প্রিয়দর্শী ও বিলাস মধঘুট।
পুলিসি হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ি সিবিআইয়ের এমনই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। বগটুই গণহত্যাকাণ্ড ছিল শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। ৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই তদন্তে রাজ্য পুলিসের উপর ভরসা না করে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর দায়িত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরই মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর পর গোটা তদন্তই কার্যত থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে দুই আধিকারিকক সাসপেন্ড করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা যাচ্ছে, লালন শেখের পাহাড়ায় ছিলেন যে দুই পুলিস কনস্টেবল তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্তকারী দুই আধকারিক যখন রামপুরহাট আদালতে গিয়েছিলেন, তখন পাহাড়ায় ছিলেন তাঁরা। তাঁদের উপস্থিতি সত্ত্বেও লালন শেখ কীভাবে বাথরুমে আংশিক ভাবে ঝুলে পড়ে আত্মহত্যা করার সুযোগ পেল সেই প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে।
লালনের পরিবার আবার অভিযোগ করে তাকে পুলিসি হেফাজতে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় তদন্তের দাবিও করেছে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই এফআইআর দায়ের করেছে রাজ্য পুলিসও। বগটুই কাণ্ড ঘটে গত বছর মার্চে। তারপর থেকে ফেরার হয়ে যায় লালন। নভেম্বর মাসে লালনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর ১২ ডিসেম্বর লালনের সিবিআই হেফাজতেই মৃত্যু হয়।