চকোলেট খাওয়ার বয়সে রাম মন্দির নির্মানের জন্য পকেটমানি তুলে দিল দুই খুদে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ যে বয়সে বাচ্চারা তাদের অর্থ চকোলেট খাওয়া এবং খেলনা কেনার পেছনে ব্যয় করে, সেই বয়সে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল এই দুই খুদে। বহু ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram temple) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাম মন্দির নির্মানের জন্যই বিহার থেকে আগত এই দুই খুদে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ তুলে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে।

বিহার নিবাসী বিবেক এবং বৈভব তাদের নিজেদের জমানো ২০০১ টাকা দান করলেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টের অফিসে। তারা তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে অযোধ্যায় ঘুরতে এসেছে। তবে আগে থাকতেই তারা পণ করেছিলেন, প্রথমে গিয়ে সঞ্চিত অর্থ দান করবেন, তারপর ভগবানের দর্শন করবেন। দুই খুদের এই মানসিকতা দেখে অবাক হয়ে গেছেন অনেকেই।

ram temple 1595486895

বিবেক তৃতীয় শ্রেণীর এবং বৈভব পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। তারা জানিয়েছেন, শ্রী রামকে তারা টিভিতে অনেকবার দেখেছেন। এমনকি রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের অনুষ্ঠানও তারা টিভিতে দেখেছেন। তাই দুজনেই পণ করেছিলেন, যখনই অযোধ্যায় ভগবান দর্শনের জন্য যাবেন, তখনই তারা সেখানে কিছু দান করবেন। এইভাবে ধীরে ধীরে কখনও ৫ টাকা, কখনও ১০ টাকা বা ১০০ টাকা করে জমিয়ে তারা দুজনে মিলে ২০০১ টাকা দান করে মন্দির নির্মানের জন্য।

এই বাচ্চারা অযোধ্যায় ভ্রমণে এসেই প্রথমে তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টের অফিসে গিয়ে ম্যানেজার প্রকাশ গুপ্তার হাতে তাদের সঞ্চিত ২০০১ টাকা তুলে দেয়। সেইসঙ্গে তাদের বাবা মা মন্দির নির্মানের জন্য ৫০০০ টাকা দান করেন।

এই দুই ছোট ছোট বাচ্চাদের এমন মানসিকতা দেখে রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের অফিস ম্যানেজার প্রকাশ গুপ্তা বলেছেন, দেশের প্রতিটি বাচ্চার মধ্যেই এই অনুভূতি থাকা উচিত। ভগবান শ্রী রামের প্রতি উত্সর্গ বোধ প্রত্যেকেরই থাকা উচিত।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর