বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে (west bengal)। বিজেপির (bjp) হারের পর গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (tmc) বিরুদ্ধে। পুলিশকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন কাজ না হওয়ায় এবার, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিট গঠনের দাবি করল মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী যে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাতে প্রাণ হারান বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক। শুধু তাই, ঘর ছাড়া হন হাজার হাজার কর্মীরা। ফলাফল প্রকাশের পর অভিযোগ উঠেছিল, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের গলায় তার পেঁচিয়ে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনকি তাঁর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
অন্যদিকে, অভিযোগ তৃণমূলের হাতে খুন হন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার প্রতাপনগরের মেটিয়ারির এক বিজেপি কর্মী হারান অধিকারী। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই শাসক দল তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ। এমনকি মৃতের পরিবারের অভিযোগ পুলিশকে জানিয়েও, কোন লাভ হয়নি।
অবশেষে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার এবং হারান অধিকারীর পরিবার বিচারের আশায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করে সিট গঠনের দাবি করেন। জানা গিয়েছে, দুই পরিবারের বক্তব্য শোনার পর মামলার দুটি কপি বানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারমধ্যে একটি কেন্দ্রের কাছে এবং অন্যটি রাজ্য সরকারকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।