বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধে কি আর বলে,’মাছে ভাতে বাঙালি’! তাই মাছ ছাড়া খাওয়াটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় বাঙালি ভোজন রসিকদের। আর বাংলার মৎস্য প্রেমীদের কাছে ইলিশ (Hilsa) মানেই মাছের রাজা। তাই আট থেকে আশি সকলেই ফ্যান ইলিশের। স্বাদে-গন্ধে এই রুপালি শস্যের জুড়ি মেলা ভার। তাই বর্ষাকাল পড়তে না পড়তেই সকলেই বাজারে গিয়ে খোঁজ করছেন ভালো ইলিশের।
আসলে বছরের অন্যান্য সময় ইলিশ পাওয়া গেলেও তার দাম থাকে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেতেই মৎস্যজীবীদের জালে এসে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা দেয় এই রুপালি শস্য। তাই বর্ষাকাল আসতেই ধুম পড়ে গিয়েছে ইলিশ কেনার। কিন্তু সম্প্রতি ইলিশ মাছ ধরা নিয়েই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)।
আসলে এই সময় মাছের প্রজনন পদ্ধতি চলে তাই আগামী ১৪ই জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এই সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে মাছেদের বংশবিস্তারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অন্যদিকে এবছর ১২ জুন পড়েছে জামাইষষ্ঠী। তাই এইভাবে জামাইষষ্ঠীর মধ্যেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় কার্যত মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।এসবের মধ্যেই জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পদ্মা নদীর (Padma River) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকায়।
আরও পড়ুন: হাতে দশ দিন সময়, তারপরই আর হবে না আধার আপডেট! জানুন কি বলছে UIDAI
জানা গিয়েছে গত শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের জেলে ফরিদ শেখ-এর জালে ধরা পড়েছিল ছোট বড় সাতটি পাঙাশ। এছাড়া আর এক জেলের জালে পাঙাশের পাশাপাশি ধরা পড়েছিল একটি বড় চিতল ও একটি ইলিশ মাছ। জানা গিয়েছে যে জেলে ৭ টি পাঙাশ মাছ ধরেছিল তার মধ্যে সবথেকে ছোটটির ওজন ছিল ৭ কেজি আর বড়টির ওজন ছিল প্রায় ১৬ কেজি।নিলামে সেই জেলে ছোট পাঙাশটি ৮৫০ ও বড়টি প্রতি কেজি ১০৫০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
অন্যদিকে ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে জল ফেলে স্থানীয় ছাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে আরিফ হালদার জালে তুলেছিলেন একটি বড় চিতল মাছ আর একটি বড় ইলিশ মাছ। এরপর ওই মাছ ব্যবসায়ী ফেরিঘাট এলাকার আর এক মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের সাথে যোগাযোগ করে ১১ কেজি ওজনের চিতল ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৪ হাজার টাকায়, আর ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি বিক্রি করেছিলেন ৬ হাজার ৭০০ টাকায়।